বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | রাজনীতি | লাইফস্টাইল | শিরোনাম | সাবলিড » রাজনীতি ও উন্নয়নে দুঃসময়ের কান্ডারি- মুক্তাদির চৌধুরী
রাজনীতি ও উন্নয়নে দুঃসময়ের কান্ডারি- মুক্তাদির চৌধুরী
বিবিসি২৪নিউজ, এম ডি জালাল,ঢাকাঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের বাহক, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীলতায় বিশ্বাসী আওয়ামীলীগ এর রাজনৈতিক দর্শনের প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন ব্যক্তি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, শিক্ষা ও সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, কৃষি, বিদ্যুতসহ সকল ক্ষেত্রে নিপুণ কুশলী হাতের ছোঁয়ায় উন্নতির শীর্ষে নিয়ে গেছেন। এনেছেন যুগান্তকারী পরিবর্তন। নানামূখী উন্নয়ন কর্মকান্ডের মাঝে সর্বপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ খাত হচ্ছে শিক্ষা। শিক্ষা ক্ষেত্রে তিনি অনন্য অবদান রেখে যাচ্ছেন। গড়ে তুলেন ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া। মানব কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ, এই নেতা-এ জনপদের শ্রেষ্ঠ সন্তান, তিতাস পাড়ের মানুষজনের শক্তি সাহস আর নিরাপত্তার একমাত্র ও শেষ আশ্রয়স্থল, তৃনমূলের ভালোবাসায় সিক্ত রাজনীতির জীবন্ত কিংবদন্তি,যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, তিন-তিনবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন থেকে নির্বাচিত জননেতা জনাব র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
আজকের প্রজন্মের অনেকেই হয়তো বিষয়টি অবগত নয়l
ব্রাম্মণবাড়িয়া তথা সারা বাংলাদেশে তিনি রবিউল ভাই নামে পরিচিতl আসলে কে এই রবিউল মুক্তাদির চৌধুরী? তিনি কোথায় থেকে কেমন করে এলেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে–; একটু জেনে নেই। বর্তমান সময়ে নতুন প্রজন্মের কাছে তিনি হয়তো তেমন ভাবে পরিচিত নয়। তাহলে ফিরে যেতে হয় সেই ছাত্র রাজনীতির শুরুতেl
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যৈষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের বিশেষ ঘনিষ্ঠ সহচর মোকতাদির চৌধুরী ১৯৭০ সালে পূর্বপাকিস্তান ছাত্রলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সব আন্দোলন-সংগ্রামে সম্মুখভাগে ছিলেন। ১৯৬৯-৭০ সালে ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচনে তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হনl মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে আহত হন রবিউলl
১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে মোকতাদির চৌধুরী ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হনl ছাত্র রাজনীতির শুরুতেই তিনি ছিলেন একজন অসাধারণ বক্তা ও লেখকl এই সময় ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ কমিটি ঢাকার বিভিন্ন কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনকালে লিফটলেট লেখায় সহযোগিতার জন্য তার শরণাপন্ন হতেন অনেকেই।
তার লেখায় ও কলমের দক্ষতা অসীমl কীভাবে ছাত্র সংসদের নির্বাচনে কী লিখতে হবে তার সবকিছুই ছিল তার নখদর্পনেl
ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগরের নেতা ও কর্মীদের উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী অত্যন্ত প্রিয় ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেনl শেখ কামাল কাছেও ছিলেন অতি প্রিয় মানুষ।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হলে আওয়ামী লীগ, যুব লীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের উপরে নেমে আসে এক বিশাল অন্ধকারl এই দুঃসময়ে যারা জীবনের ঝুঁকি কি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিরুদ্ধে গোপন আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন তারা হলেন ওবায়দুল কাদের, রবিউল আলম মুক্তাদির চৌধুরী।
জেনারেল জিয়ার সামরিক আইনের বিরুদ্ধে ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর রবিউল অন্যান্য ছাত্রলীগ নেতা ও কর্মীদের নেতৃত্বে ৪ নভেম্বরের পঁচাত্তরের মৌন মিছিল সংগঠিত করা হয়েছিলl তাদের নেতৃত্বেই ঢাকায় শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিরুদ্ধে প্রথম রাজনৈতিক প্রতিরোধ যুদ্ধ। সামরিক শাসনের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ছাত্রলীগ কর্মীরা ৪ নভেম্বরের মৌন মিছিলকে সফল করে তোলার জন্য ঢাকা শহরের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে প্রচারপত্র বিলি করেl
বঙ্গবন্ধু হত্যার পরপরই খন্দকার মোস্তাকের ডাকা সভায় ঢাকায় অবস্থানরত সংসদ সদস্যদের উপস্থিত না থাকার জন্য হুমকি চিঠি বিলি করা হয়l এই কঠিন মুহূর্তে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী রবিউল মোকতাদির চৌধুরী সর্বক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
এক সময় মিথ্যা অভিযোগে জেনারেল জিয়ার সামরিক সরকার তাকে গ্রেপ্তার করেl পরে হাইকোর্টে রিট করে ১৯৭৮ সালে জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ছাত্রলীগকে সংগঠিত এবং আওয়ামী লীগকে পুনরোজ্জীবিত করতে কাজ শুরু করেন মোকতাদির চৌধুরী। তার এসকল আন্দোলন ও কর্মসূচিতে আজকের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সব সময় পাশে ছিলেনl আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী জন্ম: ১ মার্চ ১৯৫৫. বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও ২৪৫ নং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন থেকে তিনবার নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য। তিনি ২০১১ সালে উপনির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
অপ্রতিরোধ্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি-ঃ
তিতাস পারের ছেলে রবিউল মোকতাদির চৌধুরী আওয়ামীলীগের জন্য অসাম্পদায়িক দেশ গড়তে প্রিয় সংগঠনের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। পরিচ্ছন্ন, ভদ্র ও দৃঢ় মনোবলসম্পন্ন’ রাজনীতিবিদ হিসেবে আওয়ামীলীগের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল-সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছে সুপরিচিত র আ ম ওবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী এম পি। আন্দোলন সংগ্রামেও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কৃতি সন্তান প্রাণ পুরুষ জনাব র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি হিসাবে নিষ্ঠা ও সততার সাথে কাজ করে সত্যিই প্রমাণ করে দিয়েছেন মানুষ কথায় নয় বরং মানুষ বড় তার কাজে। আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অভিভাবক, সর্বস্তরের মানুষের ন্যায় বিচারক। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন। বিমান ও পর্ষটন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা। সমগ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মাটি ও মানুষের জননেতা উন্নয়নের রূপকার। যার স্পর্শে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রাস্তাঘাট, ফ্লাইওভার, হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নের পাশাপাশি তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ছিনতাই, দুর্নীতি এবং মাদক মুক্ত করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও গরীব এতিম অসহায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে নারীদের সাবলম্বি করার জন্য তিনি অত্যন্ত উদার। তিনি অন্যায়কে কখনই প্রশ্রয় দেন না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মহান নেতৃত্বে অবিচল আস্থা রেখে এমপি হওয়ার পর থেকেই তিনি তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া নির্বাচনি এলাকায় উন্নয়ন আর উন্নয়নই করে চলেছেন। চৌধুরী এমপি হিসাবে নিষ্ঠা ও সততার সাথে কাজ করে সত্যিই প্রমাণ করে দিয়েছেন মানুষ কথায় নয় বরং মানুষ বড় তার কাজে।
পরবর্তীতে রবিউল বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি চাকুরীতে যোগদান করলেও গোপনে রাজনৈতিক কার্যকলাপে সক্রিয় ভূমিকা রাখেনl ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যার পাশাপাশি থেকে বিশ্বস্ততার সঙ্গে তিনি তার এই দায়িত্ব একটানা পাঁচ বৎসর পালন করেন। ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত সরকার ক্ষমতায় এলে তাকে চাকুরী থেকে জোরপূর্বক অবসরে যেতে বাধ্য করা হয়।…