বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | শিরোনাম | সাবলিড » একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রে কাঁপল দুই কোরিয়া
একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রে কাঁপল দুই কোরিয়া
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে চলছে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া। স্থানীয় সময় সোমবার শুরু হওয়া ৫ দিনের ‘যুদ্ধ কসরত’ শেষ হবে শুক্রবার। ‘ভিজিল্যান্ট স্টর্ম’ নামের এ যৌথ মহড়ায় অংশ নিয়েছে দুই দেশের শত শত যুদ্ধবিমান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার দুই দেশের ইতিহাসে এই প্রথমবার দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলে একদিনেই ২৩টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া। একের পরে এক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কেঁপে উঠল কোরিয়ার পুরো সমুদ্রসীমা। কোরীয় যুদ্ধের পর প্রথম উত্তর কোরিয়ার ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র দুই দেশের সমুদ্রসীমা অতিক্রম করেছে। পালটা জবাব দেয় সিউলও। দক্ষিণ কোরিয়া বলছে, উত্তর কোরিয়ার ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রথমবারের মতো বিরোধপূর্ণ সমুদ্রসীমার দক্ষিণে এসে পড়ে। এলাকাটি দক্ষিণ কোরিয়ার আঞ্চলিক জলসীমার কাছাকাছি অবস্থিত। স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি দক্ষিণ কোরিয়ার উলেংডোর দ্বীপের কাছে পড়ে। পালটা জবাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ২ দেশের সমুদ্রসীমার কাছাকাছি এফ-১৫কে যুদ্ধবিমান থেকে ৩টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে দ. কোরিয়া। সিউলের সামরিক বাহিনী বলেছে যে, ১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধের শেষে উপদ্বীপ ভাগ হওয়ার পর এই প্রথমবার উত্তর কোরিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণের আঞ্চলিক জলসীমার এত কাছাকাছি অবতরণ করেছিল। প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এমন ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ নিতান্তই একটি উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের অংশ, উত্তর কোরিয়ার কার্যকর আঞ্চলিক আক্রমণ। দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ (জেসিএস) জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া তাদের পূর্ব উপকূলের ওয়ানসান থেকে সাগরে তিনটি স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে, যার মধ্যে একটি ক্ষেপণাস্ত্র এমন জায়গায় আঘাত হেনেছে যেটি ২ কোরিয়ার অনানুষ্ঠানিক সমুদ্রসীমা হিসাবে বিবেচিত। পরে জেসিএস জানায়, উত্তর কোরিয়ার পূর্ব ও পশ্চিম উপকূল থেকে বিভিন্ন ধরনের ২৩টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া ‘খুবই অস্বাভাবিক এবং তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়’। তারা এর ‘সমুচিত জবাব’ দেবে বলেও জানায়। উত্তর কোরিয়ার ছোড়া এসব ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে অন্তত একটি এনএলএলের ২৬ কিলোমিটার দক্ষিণে, দক্ষিণ কোরিয়ার পূর্ব উপকূলীয় শহর সোকচো থেকে ৫৭ কিলোমিটার দূরে এবং ইউলং দ্বীপ থেকে ১৬৭ কিলোমিটার দূরে সাগরে এসে পড়ে, ওই সময় এ এলাকাগুলোতে বিমান হামলার সতর্কসংকেত বাজানো হয়। ইউলং কাউন্টির এক কর্মকর্তা বলেন, সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটের দিকে (স্থানীয় সময়) আমরা সাইরেনের শব্দ শুনি আর তখনই আমাদের ভবনে থাকা সবাই বেসমেন্টের আশ্রয়কেন্দে চলে যাই।