শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | শিরোনাম | সাবলিড » তুরস্কে কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ২৮, ভিতরে আটকা পড়েছে বহু শ্রমিক
তুরস্কে কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ২৮, ভিতরে আটকা পড়েছে বহু শ্রমিক
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ তুরস্কের বার্তিন প্রদেশের একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে অন্তত ২৮ জন মারা গেছে এবং এখনো খনির ভেতরে অনেকে আটকা আছেন।
বিস্ফোরণের সময় অন্তত ১১০ জন শ্রমিক ওই খনিতে কাজ করছিলেন এবং এর অর্ধেকই ছিলো তিনশ মিটারের বেশি গভীরে।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন এ পর্যন্ত এগার জনকে তারা উদ্ধার করেছেন, যাদের এখন চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
রাতে জরুরি কর্মীরা পাথর খনন করে আটকে পড়াদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে পুরো কালো রং ঢেকে যাওয়া খনি কর্মীরা বেরিয়ে আসছেন এবং তাদের দৃষ্টি ছিলো ঝাপসা।
উদ্ধার কর্মীরা তাদের কৃষ্ণসাগর উপকূলের একটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে নিয়ে গেছেন।আটকে থাকা কর্মীদের স্বজনরা খনি এলাকা ভিড় করছেন এবং তাদের স্বজনদের জন্য উদ্বেগ নিয়ে অপেক্ষা করছেন।
বিস্ফোরণটি ধারণা করা হচ্ছে যে খনির অন্তত তিনশ মিটার ভেতরে হয়েছে। খনির তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ মিটার গভীরের ঝুঁকিপূর্ণ জোনে ৪৯ জন কাজ করছিলেন বলে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সয়লু জানিয়েছেন।
ঘটনাস্থলেই সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন ওই এলাকাতেই তারা আছেন যাদের এখনো উদ্ধার করা যায়নি।
বিস্ফোরণের কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে স্থানীয় প্রসিকিউটর কার্যালয় এর তদন্ত শুরু করেছে।
তুরস্কের জ্বালানি মন্ত্রী বলেছেন ফায়ারড্যাম্পের কারণে এ বিস্ফোরণ হতে পারে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। ফায়ারড্যাম্প হলো মূলত কয়লা খনির ভেতরে মিথেন গ্যাসের এক ধরণের মিশ্রণ।
“আমরা সত্যিকার অর্থেই একটি দুঃখজনক পরিস্থিতির ভেতর আছি,” বলছিলেন তিনি।
খনির ভেতরের একটি অংশ ধ্বসে গেছে তবে এখন কোন আগুন নেই এবং ভেন্টিলেশনও ঠিকমতো কাজ করছে বলে জানান তিনি।প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আহতদের অনেকের ক্ষত অত্যন্ত মারাত্মক বলে জানিয়েছেন আমসারা মেয়র রেচাই চাকির।
খনি থেকে নিজেই বেরিয়ে আসা একজন শ্রমিক বলেছেন, “ভেতরে ধূলা আর ধোঁয়া এবং আমরা আসলে জানি না যে কি হয়েছে সেখানে”।
ওই খনিটির মালিক রাষ্ট্রায়ত্ত তুর্কিশ হার্ড কোল এন্টারপ্রাইজ।
এর আগে ২০১৪ সালে পশ্চিমাঞ্চলীয় সোমা শহরে এক ভয়াবহ কয়লা খনি বিস্ফোরণে ৩০১ জনের মৃত্যু হয়েছিলো।
প্রবল পরাক্রমশালী অটোমান সাম্রাজ্যের পতন হয়েছিল যেভাবে