শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১

BBC24 News
সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | রাজনীতি | শিরোনাম | সাবলিড » সরকার পতন: অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | রাজনীতি | শিরোনাম | সাবলিড » সরকার পতন: অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
৩৮১ বার পঠিত
সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সরকার পতন: অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

---বিবিসি২৪নিউজ,অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে যুগপৎ আন্দোলনে একমত হওয়ার লক্ষ্যে বিএনপি অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক কিছু দলের সাথে দ্বিতীয় দফা আলোচনা শুরু করেছে।

তবে প্রস্তাবিত আন্দোলনের রুপরেখা নিয়ে এখনও কোন আলোচনা হচ্ছে না।

প্রস্তাবিত সেই আন্দোলনে কোন কোন দাবি উত্থাপন করা হবে -এ দফার আলোচনায় সে বিষয়ে চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে।

বিএনপির নেতারা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দাবিকে মূল লক্ষ্য করে অন্য দলগুলোর সাথে মীমাংসার ভিত্তিতে এ মাসের মধ্যেই তারা যুগপৎ আন্দোলনের দাবি-দফা চূড়ান্ত করবেন।

খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি
বিএনপি দ্বিতীয় দফার আলোচনায় দু’দিন ধরে ছোট ছোট চারটি দলের সাথে আলোচনা করেছে।

দলটি এই আলোচনার মাধ্যমে দাবিগুলো ঠিক করার কথা বলছে।

দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পতন -এই দাবিতে তাদের ফোকাস থাকছে।

এর সাথে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির তাদের দলীয় দাবি রাখা হচ্ছে।

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি সহ অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়ও আনা হয়েছে দাবিনামার তালিকায়।

সব মিলিয়ে বিএনপি দশ দফা দাবিনামা উপস্থাপন করছে এই আলোচনায়।

বর্তমান সরকারের পতন
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাদের এই আলোচনায় অন্য দলগুলো দাবির ব্যাপারে একমত হলে তার ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনে তারা নামবেন।

তিনি জানিয়েছেন, বিভিন্ন দলের সাথে প্রথম দফার আলোচনায় বিএনপির টার্গেট ছিল যৌথ বা যুগপৎ আন্দোলনের ব্যাপারে অন্য দলগুলোর মতামত নেয়া।

সেই দফায় আলোচনায় অংশ নেয়া দলগুলো যৌথ আন্দোলনের ব্যাপারে একমত হয়েছিল।

মি: আলমগীর উল্লেখ করেন, এই আন্দোলনের জন্য দাবিগুলো কি থাকবে-সেটা নিয়ে এখন তারা আলোচনা করছেন।

মি: আলমগীর বলেন প্রস্তাবিত দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে , সংসদ ভেঙে দেয়া, বর্তমান সরকার পরিবর্তন, দল নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং বেগম খালেদা জিয়াসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মুক্তি।

“এরসাথে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ অন্যান্য দাবি রাখা হয়েছে। দাবিগুলোতে একমত হওয়ার লক্ষেই আমরা আরোচনা করছি” বলেন বিএনপি মহাসচিব।জামায়াতে ইসলামীর সাথে বৈঠক নেই
বিএনপি গত মে মাস শুরু থেকে তিন মাস ধরে ২২টি রাজনৈতিক দলের সাথে প্রথম দফার আলোচনা করেছিল।

সেই আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিল বিএনপির পুরোনো ২০ দলীয় জোটের শরিক কয়েকটি দল এবং এর বাইরে বামপন্থী, ইসলামপন্থী বা ডানপন্থী দল।

বিএনপি প্রথম দফার সেই আলোচনায় পুরোনো মিত্র জামায়াতে ইসলামীর সাথে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেনি।

এখন দ্বিতীয় দফার আলোচনাতেও জামায়াতের সাথে বিএনপির আনুষ্ঠানিকভাবে বা প্রকাশ্যে কোন আলোচনার সম্ভবনা কম।

তবে দল দু’টির মধ্যে অনানুষ্ঠানিক কথাবার্তা রয়েছে।

বিএনপি নেতাদের অনেকে বলেছেন, তাদের পুরোনো মিত্রদের বাইরে বামপন্থী সহ অন্যান্য দলকে আন্দোলনে নেয়ার টার্গেট থেকে তারা এই কৌশল নিয়েছেন।

জেনারেল মুহাম্মদ ইব্রাহিম
বিএনপি সেই প্রথম দফার আলোচনায় যুগপৎ আন্দোলনের রুপরেখা তৈরির করার কথা বলেছিল।

এখন আলোচনাতেও দলটি সামগ্রিক কোন রুপরেখা না দিয়ে দাবি-দফা ঠিক করার কথা বলছে।

---দ্বিতীয় দফায় এপর্যন্ত যে দলগুলোর সাথে আলোচনা করেছে, তাদের মধ্যে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির নেতা অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলছিলেন, আন্দোলন, নির্বাচন এবং তারপরে তারা কীভাবে কাজ করবেন, সেই প্রশ্ন ওঠে তাদের আলোচনায়।

“আলোচনায় কল্যাণ পার্টির প্রশ্ন ছিল যে, নির্বাচনের পূর্বে কোন ধরনের সরকার চান। এ ব্যাপারে বিএনপির পক্ষ থেকে দল নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলা হয়,” তিনি বলেন।

বিএনপি একদিকে দলগতভাবে সভা-সমাবেশের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে রয়েছে, অন্যদিকে যুগপৎ আন্দোলন গড়তে বিভিন্ন দলের সাথে আলোচনা চালাচ্ছে।মাহমুদুর রহমান মান্না
এই যুগপৎ আন্দোলন গড়ার প্রক্রিয়ায় বিএনপির সাথে রয়েছেন নাগরিক ঐক্যৈর নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না।

তিনি বলেছেন, বিএনপির এই উদ্যোগে তারা ধীরগতি লক্ষ্য করছেন।

মাহমুদুর রহমান রহমান মান্না উল্লেখ করেন, প্রথম আলোচনায় বিএনপি সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে দ্বিতীয় দফার আলোচনার কথা বলেছিল।

“কিন্তু এতদিন পর এখন সেই আলোচনা করা হচ্ছে,” বলেন মি. রহমান।

তিনি মনে করেন, বিএনপি অনেক বড় বড় সসমাবেশ করছে। তারপরও কেউ এককভাবে আন্দোলন করে জিততে পারবে না।

“আন্দোলনে জেতার জন্য অন্য সব দলকে লাগবে। সবাই যেহেতু একমঞ্চে আমরা আসতে পারছি না, অতএব যুগপৎ আন্দোলন করাই ভাল হবে” বলেন নাগরিক ঐক্যের নেতা।রুপরেখা না দেয়ার কৌশল
যুগপৎ আন্দোলনে যে সব দল অংশ নেবে, নির্বাচনের সময় তারা এক মঞ্চে আসবে কীনা অথবা নির্বাচনের পর সরকার গঠনের প্রশ্ন এলে তখন কীভাবে হবে -বিভিন্ন দলের সাথে আলোচনায় এসব প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন বিএনপি নেতারা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এখনই সামগ্রিক কোন রুপরেখা না দেয়ার বিষয়টি বিএনপির কৌশল হতে পারে।

বিএনপি সমর্থক পেশাজীবী ফোরামের একজন নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তাজমিরী ইসলাম মনে করেন, একটা পর্যায়ে গিয়ে যুগপৎ আন্দোলনকারীদের এক মঞ্চেই যেতে হতে পারে।

“এখন পর্যন্ত যতটা এগিয়েছে, তাকে ইতিবাচক বলবো।

“তারপরে আন্দোলনে একটা পর্যায়ে জোট করতে হবে” বলে মনে করেন অধ্যাপক তাজমিরী ইসলাম।

এদিকে, বিএনপি নেতারা বলেছেন, বিভিন্ন দলের সাথে এবারের আলোচনা তারা এমাসের মধ্যেই শেষ করার চেষ্টা করবেন।

তবে যুগপৎ আন্দোলনে মাঠে নামার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোন সময় তারা এখনই বলতে পারছেন না।



আর্কাইভ

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
পারমাণবিক আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া!
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ
ইলন মাস্কের রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে হাজির ট্রাম্প
লেবাননে নিহত দুই শতাধিক শিশু: ইউনিসেফ
মার্তিনেজের ধাঁধানো গোলে জিতল আর্জেন্টিনা
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিধি বাড়ালেন পুতিন
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল হয়নি: হাসনাত
যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন সামরিক গোয়েন্দা তথ্য চুক্তি স্বাক্ষর