বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | ইউরোপ | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » রানির অন্তিম যাত্রা মানুষের ঢল, বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে ওয়েস্টমিনস্টার পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার যাত্রাপথ
রানির অন্তিম যাত্রা মানুষের ঢল, বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে ওয়েস্টমিনস্টার পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার যাত্রাপথ
বিবিসি২৪নিউজ,রুপা শামীমা লন্ডন থেকেঃ লন্ডনে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সরকারি বাসভবন বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে তার শবাধার নিয়ে শেষ যাত্রা দেখার জন্য এবং রানির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শহরের রাস্তায় হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়েছে।
রানির কফিন বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে শোক মিছিল করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ওয়েস্টমিনস্টার হলে, যেটি পার্লামেন্ট ভবনের খুবই প্রাচীন একটি অংশ।
আগামী সোমবার রানির রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া না হওয়া পর্যন্ত এখানেই রানির কফিন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত রাখা হবে।
রাজকীয় পতাকায় মোড়া কফিনের ওপর শোভা পাচ্ছে রানির মুকুট এবং রাজদণ্ড।
বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে একটি ঘোড়ায় টানা শকটে করে স্থানীয় সময় দুপুর বেলায় রানির মরদেহ সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়, এই শকটের পেছনে পেছনে আসেন রাজা তৃতীয় চার্লস এবং রাজপরিবারের অন্য সদস্যরা।রানির শবাধার নিয়ে অন্তিম যাত্রা দেখতে মানুষের ঢল নামে বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে ওয়েস্টমিনস্টার হল পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার যাত্রাপথে। ব্রিটেনের নানা প্রান্ত থেকে নানা বয়সের, নানা বর্ণের হাজার হাজার মানুষ এই অন্তিম যাত্রায় রানিকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
খুবই গুরু গম্ভীর পরিবেশে সামরিক ব্যান্ডের বিষাদময় বাজনার সাথে ৩৮ মিনিট পথ পাড়ি দিয়ে রানির কফিন পৌঁছয় ওয়েস্টমিনস্টার হলে। এসময় হাইড পার্কে তোপধ্বনি করা হয় আর বিগ বেনের ঘড়িতে প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টাধ্বনি শোনা যায়। বড় পার্কগুলোতে বিশাল পর্দায় অসংখ্য মানুষ এই শোকমিছিল দেখে।
রাজকীয় পতাকায় ঢাকা রানির কফিন ওয়েস্টমিনস্টার হলে পৌঁছনর পর সেখানে ছোট একটি প্রার্থনা অনুষ্ঠান হয়।
বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে ওয়েস্টমিনস্টার হল পর্যন্ত শোক মিছিলের সময় লন্ডনের আকাশ দিয়ে বিমান উড়ে যাতে নীরবতা ভঙ্গ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে বেশ কিছু ফ্লাইট বাতিল করা হয়।
আগামী চারদিন ওয়েস্টমিনস্টার হলে লাখ লাখ মানুষ রানিকে শ্রদ্ধা জানাতে এই কফিনের পাশ দিয়ে হেঁটে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সরকার ইতোমধ্যেই মানুষজনকে সতর্ক করে দিচ্ছেন যে ওয়েস্টমিনস্টার হলে ঢোকার জন্য মানুষকে তিরিশ ঘণ্টা পর্যন্ত লাইনে অপেক্ষা করতে হতে পারে। হয়ত সারারাত তাদের লাইন দিতে হবে। সেজন্য তারা যেন প্রস্তুত হয়ে আসে। তার পরেও দর্শনপ্রার্থীদের লাইন বেড়েই চলেছে।
হলের ভেতরে ঢোকার জন্য বিমানবন্দরের মত কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ভেতরে কী কী নিয়ে ঢোকা যাবে বা কী নেয়া যাবে না সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশ আছে। ভেতরে ছবি তোলা যাবে না, শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে কীভাবে কফিনের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে হবে তার নিয়মকানুন জানিয়ে দেয়া হচ্ছে।
যারা লাইনে আছেন তাদের হাতের কব্জিতে হলুদ রংয়ের ব্যান্ড পরিয়ে দেয়া হচ্ছে যাতে লাইন ভেঙে বাইরে থেকে কেউ ঢুকে পড়তে না পারে বা একজন একাধিক জনের হয়ে লাইন দিতে না পারে।
যেসব পাড়ার মধ্যে দিয়ে লাইন গেছে, সেখানে রেস্তোরা ক্যাফে বাড়তি সময় খোলা রাখা হচ্ছে।
অপেক্ষার পথে ৫০০ অস্থায়ী টয়লেট বসানো হয়েছে।
বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংস্থার স্বেচ্ছাসেবীরা ভিড় সামলাতে পুলিশকে সাহায্য করছেন। পাশাপাশি লাইনে দাঁড়ানো মানুষকেও তারা নানাভাবে সাহায্য করছেন।