শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » আইন-আদালত | আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » সু চির ১৭ বছরেরও বেশি কারাদণ্ড
সু চির ১৭ বছরেরও বেশি কারাদণ্ড
বিবিসি২৪নিউজ,এশিয়া ডেস্কঃ মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিকে নানা অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে এ পর্যন্ত ১৭ বছরেরও বেশি সময়ের কারাদণ্ড দিয়েছে জান্তা শাসিত আদালত।
শুক্রবার সর্বশেষ নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২০২০ সালের সাধারণ নির্বাচনে জালিয়াতি, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের হুমকি এবং আইন বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এই সাজার রায় হয়।এর আগেও কয়েকটি মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সু চির কারাদণ্ড হয়েছে। তবে তিনি সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন।
গতবছর ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সু চির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। এরপর সু চি ও তার দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে একের পর এক মামলা দেওয়া হয়।
তখন থেকেই বন্দি আছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী নেত্রী সু চি। মিয়ানমারের রাজধানী নিপিধোয় সামরিক জান্তার বিশেষ আদালতে তার রুদ্ধদ্বার বিচার চলছে। গণমাধ্যমকে এ বিচার প্রক্রিয়ার খবর জানানো হচ্ছে না। সু চির আইনজীবীদেরও সংবাদ মাধ্যম এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া, করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ ভঙ্গ, অবৈধভাবে ওয়াকিটকি ব্যবহার এবং ঘুষ নেওয়াসহ কয়েকটি অভিযোগে কারাদণ্ড হয়েছে ৭৬ বছর বয়সী এ নেত্রীর।
কোন মামলায় কত শাস্তি:
- সু চি বন্দি থাকা অবস্থায় তার দলের পক্ষ থেকে সামরিক সরকারকে স্বীকৃতি না দিতে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। ওই ঘটনায় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে সু চিকে (গত বছর ডিসেম্বরে দুই বছরের জেল দেওয়া হয়)।
- দাপ্তরিক গোপনীয়তা আইন অমান্যের আরেকটি মামলা চলমান রয়েছে। দোষী প্রমাণিত হলে সু চির সর্বোচ্চ ১৪ বছর সাজা হতে পারে।
- করোনাভাইরাস প্রাদুভার্বের সময় প্রকৃতিক দুর্যোগ আইন লঙ্ঘন করে নির্বাচনী প্রচার চালানোর অভিযোগে দুই বছরের জেল হয়েছে সু চির। (গত বছরের ৬ ডিসেম্বর ও চলতি বছরের ১০ জানুয়ারিতে আলাদাভাবে এ সাজা দেওয়া হয়)
- অবৈধভাবে ওয়াকিটকি ও সিগনাল জ্যামার ব্যবহারের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি ও টেলিযোগাযোগ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সু চিকে যথাক্রমে দুই ও এক বছরের জেল দেওয়া হয়। (এ বছরের জানুয়ারিতে দেওয়া এই দণ্ড একইসঙ্গে ভোগ করবেন তিনি)।নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করায় ২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সু চির তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়।
- দুর্নীতি দমন আইন লঙ্ঘনের ১১ মামলার প্রত্যেকটিতে সর্বোচ্চ ১৫ বছর করে সাজা হতে পারে সু চির।
এসব মামলার মধ্যে আছে:
-সু চির সভাপতিত্বে দাও খিন চি ফাউন্ডেশনের তহবিলের অপপ্রয়োগ করে ডিসকাউন্টে সরকারি জমি ইজারা দেওয়া এবং একটি বাড়ি তৈরির অভিযোগ। (গত ১৫ অগাস্টে এ মামলায় সু চির ছয় বছরের জেল হয়)।
- ছয় লাখ ডলার ও ১১ দশমিক ৪ কেজি সোনা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে মিয়ানমারের জান্তা আদালত সু চিকে (গত ২৭ এপ্রিলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়)।
-রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অপব্যবহার করে একটি হেলিকপ্টার ইজারা নেওয়ার মামলা এখনও চলমান রয়েছে।