মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট ২০২২
প্রথম পাতা » আমেরিকা | আর্ন্তজাতিক | শিরোনাম | সাবলিড » যুক্তরাষ্ট্র-দ.কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া শুরু, মার্কিন গভর্নরের তাইওয়ান সফর
যুক্তরাষ্ট্র-দ.কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া শুরু, মার্কিন গভর্নরের তাইওয়ান সফর
বিবিসি২৪নিউজ,মো.সুমন মিয়া :যুক্তরাষ্ট্র থেকেঃ যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া তাদের বার্ষিক যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। কোরীয় দ্বীপে সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসন বেড়ে গেছে এমন অভিযোগ এনেই মিত্র দেশ দুটির মধ্যে সোমবার বড় ধরনের ওই মহড়া শুরু হয়েছে।
উলচি ফ্রিডম শিল্ড নামে দক্ষিণ কোরিয়ায় মিত্র দেশ দুটির এই গ্রীষ্মকালীন মহড়া আগামী ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। যুদ্ধবিমান, যুদ্ধজাহাজ, ট্যাঙ্ক এবং প্রায় কয়েক হাজার সৈন্য এই মহড়ায় অংশ নেবেন।
উত্তর কোরিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়ন এবং করোনাভাইরাসের কারণে গত কয়েক বছরে সিউল এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে বেশ কিছু নিয়মিত মহড়া বন্ধ ছিল।
তবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়োন সুক-ইওল গত মে মাসে দায়িত্ব গ্রহণ করার পরই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ মহড়া স্বাভাবিক করা এবং উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
এদিকে গত সপ্তাহে সাগরে দুটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তাদের দাবি, চলতি মাসের শুরুতে এটাই পিয়ংইয়ংয়ের প্রথম অস্ত্র পরীক্ষা। যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া সামরিক মহড়ার ঘোষণা দেওয়ার পরেই দেশটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তাদের দাবি, উত্তর কোরিয়া চলতি বছর নজিরবিহীন গতিতে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে এবং যে কোনো সময় দেশটি তাদের সপ্তম পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়োন সুক-ইওল বলেছেন, পিয়ংইয়ং পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের দিকে পদক্ষেপ নিলে তার সরকার অর্থনৈতিক সহায়তা দিতে ইচ্ছুক। তবে উত্তর কোরিয়া তার এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এর তীব্র সমালোচনা করেছে।
সিউলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই গ্রীষ্মকালীন যৌথ মহড়ায় কয়েক হাজার সেনা অংশ নেবেন। ১১টি মাঠ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এতে অন্তর্ভূক্ত থাকবে বলেও জানানো হয়।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান হাওয়াই উপকেূলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা মহড়ায় অংশ নিয়েছে। ২০১৭ সালের পর প্রথম বারের মতো এ ধরনের মহড়ায় অংশ নিলো মিত্র দেশগুলো।
উত্তেজনার মধ্যেই মার্কিন গভর্নরের তাইওয়ান সফর
যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যকার উত্তেজনার মধ্যেই তাইওয়ানে সফর করেছেন এক মার্কিন গভর্নর। চীনের অব্যাহত সামরিক হুমকির কারণে সম্প্রতি তাইপেইয়ের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনার ঘোষণার কয়েকদিন পরই তিনি এই সফরে গেলেন। ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর এরিক হলকম্ব সোমবার তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন।স্থানীয় সময় রোববার তাইওয়ানে পা রাখেন এরিক হলকম্ব। তার এই সফরকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সফর বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
চলতি মাসে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। তার এই সফরের সময় নজিরবিহীন সামরিক মহড়া চালিয়েছে বেইজিং।
তাইওয়ানকে বৈধতা দিতে পারে এমন যে কোনো কূটনৈতিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বেইজিং। পশ্চিমা কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদদের তাইওয়ান সফরে বরাবরই ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে দেশটি। তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীণ রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে আসলেও চীন তা প্রত্যাখ্যান করে।
এদিকে সোমবার গভর্নর এরিক হলকম্বের সঙ্গে বৈঠকে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন সরাসরি বেইজিংয়ের মহড়ার উল্লেখ করেছেন এবং সমমনা দেশগুলোকে তার দেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের ওপর ক্রমাগত কর্তৃত্ববাদ বাড়ছে। তাইওয়ান প্রণালী এবং এর আশেপাশে চীনের সামরিক হুমকি বাড়ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।অপরদিকে এরিক হলকম্ব বলেন, অনেক বিষয়েই যুক্তরাষ্ট্র এবং তাইওয়ানের একই ধরনের নীতি এবং লক্ষ্য রয়েছে। আমরা তাইওয়ানের সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাব।