রবিবার, ২১ আগস্ট ২০২২
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ৪৮ ঘণ্টার পদত্যাগের লিগ্যাল নোটিশ
পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ৪৮ ঘণ্টার পদত্যাগের লিগ্যাল নোটিশ
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকাঃ শেখ হাসিনা সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারতকে অনুরোধ করেছি’ এমন বক্তব্যের কারণে আওয়ামী লীগের ভেতরে-বাইরে তীব্র সমালোচিত হচ্ছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তার এমন বক্তব্য ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ অপরাধ উল্লেখ করে তাকে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে বিরোধীরা। আর নিজ দল আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, মোমেন দলের কেউ না। এসবের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আজ (রোববার) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এরশাদ হোসেন রাশেদ এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে আপনি ভারত সরকারকে যে অনুরোধ করেছেন, এটা আপনি করতে পারেন না। কারণ, সংবিধানে বলা হয়েছে, জনগণই সব ক্ষমতার উৎস। আপনি সংবিধানবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। আপনি মন্ত্রী পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। এ অবস্থায় নোটিশ প্রাপ্তির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আপনার পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব।
এর আগে, গত ১৮ আগস্ট চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেছিলেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। তাকে টিকিয়ে রাখতে পারলে বাংলাদেশ উন্নয়নের দিকে যাবে। শেখ হাসিনার সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারতের সরকারকে সেটা করতে অনুরোধ করেছি।’ মন্ত্রীর এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য দলের বা সরকারের নয়। ক্ষমতায় টিকে থাকতে ভারতে অনুরোধ করতে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেছেন, আবদুল মোমেন আওয়ামী লীগের কেউ না, তার বক্তব্যের দায়ভার দল নেবে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না, ‘যারা অন্য দেশের আনুকূল্যে নিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকে তাদের এ দেশ শাসন করার কোনো অধিকার নেই।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, তার এই বক্তব্য অসাংবিধানিক এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। এই সরকার দেশের গণতন্ত্রকে হত্যার সঙ্গে সঙ্গে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তিও বিনষ্ট করেছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারতকে অনুরোধ করেছি’ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ। এ জন্য তাকে গ্রেপ্তার করে রাষ্ট্রদ্রোহিতার শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্য আওয়ামী লীগের জন্য চরম বিব্রতকর বলেও জানিয়েছে নেতারা। সরকার ও দলের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন অনেকে।