ক্ষমতায় গেলে প্রতিশোধ নেবেঃ ট্রাম্প!
বিবিসি২৪নিউজ,মো.সুমন মিয়া :যুক্তরাষ্ট্র থেকেঃ আবার যদি হোয়াইট হাউজে যান, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এবং এফবিআইয়ের সাবেক পরিচালক জেমস কমির বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেবেন ডনাল্ড ট্রাম্প। তার ফ্লোরিডার অবকাশযাপন কেন্দ্র মার-এ-লাগোতে তল্লাশির জবাবে ওইসব নেতার বাড়িতে তিনি তল্লাশি চালাবেন। ওয়াশিংটন পোস্টে লেখা ‘দ্য পেব্যাক ফর মার-এ-লাগো উইল বি ব্রুটাল’ (মার-এ-লাগোতে অভিযানের জবাব হবে নৃশংস) শীর্ষক একটি মন্তব্য প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। সাংবাদিক কিমবারলি স্ট্রাসেলের লেখা ওই মন্তব্য প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন ট্রাম্প। এ ছাড়া এতে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই’কে ফ্যাসিস্ট হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকা।
এতে বলা হয়, ওই লেখা শেয়ার দেয়ার মাধ্যমে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তিনি মার-এ-লাগোতে এফবিআইয়ের তল্লাশির ঘটনাকে পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করবেন। এতে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ব্যবহার করে রিপাবলিকানরা প্রতিশোধ নেবে হিলারি ক্লিনটন ও বারাক ওবামার বিরুদ্ধে। ওই প্রতিবেদনের সাংবাদিক কিম্বারলি স্ট্রাসেল হলেন ট্রাম্পের অনুগত এবং রক্ষণশীল কলামনিস্ট। শেয়ার করা এই প্রতিবেদনে ট্রাম্প কোনো কমেন্ট করেননি। এর আগে কিমবারলির কাজকে মাঝে মাঝেই ট্রাম্প প্রমোট করেছেন।কিমবারলির ওই লেখা ট্রাম্প তার সেভ আমেরিকা পিএসি থেকে ইমেইলে টুইট করেছেন।
এই কলামে কিমবারলি বলেছেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে তদন্ত হচ্ছে তা রাজনৈতিক এবং নির্বাচনকে সামনে রেখে নিয়ম ভঙ্গ করে স্পর্শকাতর এক তদন্ত। যদি রিপাবলিকানরা বিজয়ী হয় তাহলে একই ধারা ফিরে আসতে পারে ডেমোক্রেটদের ক্ষেত্রেও। এটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড ঘেরাও করেছেন সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এটা প্রসিকিউটোরিয়াল গেমের অংশ।
মিডিয়ার নতুন অবস্থান হলো, এই ডিপার্টমেন্টকে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না। তাদের উচিত কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, এটা নিশ্চিত করা। অপেক্ষা করুন, যখন ভবিষ্যত রিপাবলিকান আইন বিভাগ জো বাইডেন, হিলারি ক্লিনটন, বারাক ওবামা, এরিক হোল্ডার, জেমস কমি এবং জন ব্রেনানের বাড়ি তল্লাশি করবে।
কিমবারলি আরও লিখেছেন, ট্রাম্পের বাড়িতে এফবিআইয়ের এই ঘেরাও ও তল্লাশিতে ট্রাম্পই সুবিধা পাবেন। তার জনপ্রিয়তা বাড়বে। রাজনৈতিক বিচারে ট্রাম্পকে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে সহায়তা করবে। তিনি ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে যতটুকু সংহত ছিলেন, ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার চেয়ে বেশি সংহত হবেন। তার এই মেয়াদে প্রথম মেয়াদে দায়িত্বপ্রাপ্তদের কেউ থাকবেন না।