শুক্রবার, ২৯ জুলাই ২০২২
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » আইএমএফ যেসব শর্তে দিয়ে থাকে
আইএমএফ যেসব শর্তে দিয়ে থাকে
বিবিসি২৪নিউজ,অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাঃ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জাতিসংঘের অনুমোদিত একটি স্বায়ত্তশাসিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যার প্রধান কাজ বিভিন্ন দেশের মুদ্রামানের হ্রাস-বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করা। ১৯৪৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কার্যক্রম শুরু হওয়া এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ২৯টি দেশ চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। ২০১৬ সালের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ১৮৯টি রাষ্ট্র এই সংস্থার কার্যক্রমের আওতাভুক্ত হয়।
আইএমএফ তাদের কার্যক্রমের আওতাভুক্ত দেশগুলোকে স্বল্পমেয়াদি ঋণ দেয় এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অর্থায়ন করে থাকে। এসব সহযোগিতা তারা দিয়ে তাকে বিভিন্ন শর্তে। সংস্থাটি ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের আর্থিক খাতে নীতিগত বিষয়ে সংস্কারের কিছু শর্তও দিয়ে থাকে, যা পূরণ করতে গেলে সরকারের অজনপ্রিয় হয়ে ওঠার আশঙ্কা তৈরি হয়।
যেসব শর্ত দিয়ে থাকে আইএমএফ
বাংলাদেশ ২০১২ সালে আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার সময় বেশ কিছু শর্ত দেয় সংস্থাটি। এর মধ্যে ছিল রাজস্ব প্রশাসনে সংস্কার। এর আওতায় বাংলাদেশকে ভ্যাট আইন পাস করতে হয়েছিল। তখন একটি নতুন প্রত্যক্ষ কর আইন তৈরির শর্তও দেওয়া হয়েছিল।
ওই সময় কর মওকুফের সুবিধা বাতিলের শর্তও দিয়েছিল বৈশ্বিক সংস্থাটি। অন্যান্য শর্তের মধ্যে ছিল সরকারের ভর্তুকি কমানো, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার বৃদ্ধি, বিনিময় হার আরও নমনীয় করা, খেলাপি ঋণ আদায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি ক্ষমতা বাড়ানো, বাণিজ্যের বাধা দূর করা, বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নতি ইত্যাদি।
অতীতে আইএমএফ ঋণের বিপরীতে বাংলাদেশকে অনেক শর্ত দিয়েছে, যা পুরোপুরি অনুকূলে ছিল না। অনেক কঠিন শর্তের কারণে বাংলাদেশের ঋণ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার নজিরও রয়েছে।
বাংলাদেশ বর্তমানে আন্তর্জাতিক লেনদেনে ভারসাম্যের ক্ষেত্রে কিছুটা চাপে রয়েছে । আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল, খাদ্যপণ্য ও রাসায়নিক সার আমদানি দায় মেটাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। কয়েক মাস ধরে মজুত কমছেই। সর্বশেষ হিসাবে মজুত এখন ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে।
এ অবস্থায় সংস্থাটির কাছে ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ চেয়েছে সরকার। কিন্তু এ ঋণের জন্য বাংলাদেশে কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে সরকারের দেওয়া ভর্তুকি কমিয়ে দেওয়ার শর্ত দিতে পারে আইএমএফ। রাজস্ব এবং আর্থিক খাতের সংস্কারের শর্তও দিতে পারে বলে শোনা যাাচ্ছে। এমন আরও কিছু শর্ত থাকতে পারে।