বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » দেশে কেউ যদি কৃত্রিমভাবে ডলারের দাম বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা: অর্থমন্ত্রী
দেশে কেউ যদি কৃত্রিমভাবে ডলারের দাম বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা: অর্থমন্ত্রী
বিবিসি২৪নিউজ,অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাঃ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, কেউ যদি কৃত্রিমভাবে ডলারের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, অনেকে দাম বাড়িয়ে আমদানির ব্যবস্থা করছে। বাধা দিলে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে চলে যাচ্ছে। সরকার এ ধরনের তৎপরতা বন্ধ করার চেষ্টা করছে।
বুধবার ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি দেশে ডলারের দর অনেক বেড়েছে। গত মঙ্গলবার খোলা বাজারে প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ১১২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। ব্যাংকগুলোও নগদ ডলার বিক্রি করেছে ১০৬ টাকা দরে। আর আমদানির জন্য ডলার বিক্রি হয়েছে ৯৬ থেকে ৯৭ টাকা দরে। যদিও বুধবার খোলা বাজারে ডলারের দর কমে ১০৮ টাকায় নেমেছে। খোলা বাজারে ডলারের দর বেড়ে যাওয়ায় প্রবাসীরা ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাচ্ছেন কম। এতে ব্যাংকগুলো প্রবাসীদের থেকে বেশি দরে ডলার কিনতে বাধ্য হচ্ছে।
বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় কমিয়ে আনা এবং বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার শুল্ক, এলসি মার্জিন ও ঋণের সুদহার বাড়ানোসহ বিভিন্ন উপায়ে আমদানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমেও বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ডলারের বাজারে এসব উদ্যোগের প্রভাব পড়ছে না।
অর্থমন্ত্রী বলেন, চাহিদা ও সরবরাহের ওপর বাজার পরিস্থিতি নির্ভর করে। ডলারের দাম অবশ্যই বাজারের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।
তিনি বলেন, আশা করা হচ্ছে বর্তমানে যে ডলার সংকট আছে তা শিগগিরই শেষ হবে। এ বছর রেমিটেন্স বাড়বে, রপ্তানি আয়ও বাড়বে।
গত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন আইএমএফের কাছে ঋণ চাওয়া হচ্ছে না বা ঋণ নেওয়ার মত অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু গত রোববার অর্থ বিভাগ থেকে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চিঠি দিয়ে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রেক্ষিত অনুযায়ী অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা করা হয়ে থাকে। সরকার যদি বারবার ‘দরকার দরকার’ বলতে থাকে, চাহিদা প্রকাশ করে দেয়, তাহলে সবাই জানতে পারবে। তখন ঋণের শর্ত সুদ নিয়ে দর কষাকষিতে সরকার শক্তিশালী অবস্থানে থাকবে না। সেজন্য এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিস্কার করে কিছু বলা হয়নি।তিনি বলেন, আইএমএফের কাছে প্রস্তাব করা হয়েছে। এখন আইএমএফ কি শর্ত দেয় সেগুলো দেশের পক্ষে যায় কিনা, উন্নয়ন নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা সেসব বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশ কোনো খারাপ অবস্থায় পড়েনি। খারাপ অবস্থায় পড়লে আইএমএফ ঋণ দেবে না। বরং আইএমএফের ঋণ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ উপযুক্ত দেশ।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ৬ ও ৯ শতাংশ সুদহারের কারণে দেশের অর্থনীতি ভালো আছে। এ সুদ হার করা না হলে করোনার সময় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হারিয়ে যেত। ব্যাংক খাতও স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। বেসরকারি খাতও ভালো আছে। আইএমএফ বললেই এই সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে যাবে তেমন নয়। তবে বাস্তবতার প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা দরকার হলে সরকার তা করবে।