চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬
বিবিসি২৪নিউজ, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় বাসচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার পাঁচজন ও বাসের এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত আটজন। আজ রাত আটটার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার জলুর দিঘিরপাড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম।
দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ রাত আটটার দিকে একটি অটোরিকশা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ধরে পটিয়ার দিকে যাচ্ছিল। এর পেছনে ছিল যাত্রীবাহী বাসটি। পটিয়ার জলুর দিঘি ও বাইয়ার দিঘির মাঝামঝি স্থানে পৌঁছালে বাসটি পেছন থেকে অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। একপর্যায়ে বাসটিও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এ সময় বাসচাপায় ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার ওই পাঁচ যাত্রী মারা যান। উল্টে যাওয়া বাসটির আহত যাত্রীদের হাসপাতালে নেওয়ার পর রাত ১০টার দিকে একজন মারা যান।
ঘটনাস্থল থেকে রাত সোয়া নয়টা পর্যন্ত সাত-আটজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।ঘটনাস্থল থেকে রাত সোয়া নয়টা পর্যন্ত সাত-আটজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওসি রাশেদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে রাত সোয়া নয়টা পর্যন্ত সাত-আটজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। অনেক যাত্রী নিজের প্রচেষ্টায় বাস থেকে বের হয়েছেন।
বাসটির যাত্রী ছিলেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বাসিন্দা নাসিমা আক্তার। চার সন্তানকে নিয়ে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন তিনি। ঘটনাস্থল থেকে তিনি জানান, তিনি বাসটির মাঝামাঝি স্থানে একটি আসনে বসেছিলেন। বাসটি হঠাৎ করে ধাক্কা খায়। এ সময় সন্তানদের জড়িয়ে ধরেন তিনি। পরে বাসটি উল্টে যায়। কিছুক্ষণ পর তিনি একে একে তাঁর সন্তানদের বাস থেকে বের করেন। দুর্ঘটনায় কোমরে আঘাত পেয়েছেন তিনি।নিজেকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করে কমলমুন্সির হাট এলাকার পটিয়া হোটেলের মালিক ও সাবেক ইউপি সদস্য শফিউল আলম বলেন, ‘আমি কক্সবাজার থেকে পটিয়ার দিকে আসছিলাম। সামনে থাকা বাসটি খুব দ্রুতগতিতে চলছিল। হঠাৎ দেখি বাসটির চালক চলন্ত গাড়ির জানালা দিয়ে লাফ দেন। এরপরই বাসটি সামনে থাকা অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এরপর বাসটিও উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই অটোরিকশায় থাকা পাঁচজন মারা যান। আমি বাসযাত্রীদের কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, বাসটির ব্রেকের তার ছিঁড়ে গিয়েছিল, এ জন্য চালক লাফ দিয়েছেন।