বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | প্রিয়দেশ » দেশে ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি ঘোষণা
দেশে ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি ঘোষণা
বিবিসি২৪নিউজ,অর্থনৈতিক প্রতিবেদক ঢাকাঃদেশে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য সতর্কতামূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছে। এ মুদ্রানীতি কিছুটা সংকোচনমুখী।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন গভর্নর ফজলে কবির। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমান গভর্নর ফজলে কবিরের এটাই শেষ মুদ্রানীতি ঘোষণা। আগামী ৩ জুলাই তার মেয়াদ শেষ হবে।
মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে ফজলে কবির বলেছেন, ‘বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং সম্প্রতি সংঘটিত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যার অর্থনৈতিক প্রভাব পর্যালোচনা করে প্রতীয়মান হয় যে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য মুদ্রানীতির মূল চ্যালেঞ্জ হবে টাকার অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক মান অর্থাৎ মূল্যস্ফীতি ও বিনিময় হারকে স্থিতিশীল রাখা। একই সঙ্গে, কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে চলমান অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে সমর্থন অব্যাহত রাখাও আসন্ন মুদ্রানীতির জন্য অপরিহার্য বলে বিবেচিত হয়েছে। সে বিবেচনায় মূল্যস্ফীতি ও টাকার বিনিময় হারের ঊর্ধ্বমুখী চাপকে নিয়ন্ত্রণে রেখে কাঙ্ক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করার নিমিত্তে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য সতর্কতামূলক মুদ্রানীতি ভঙ্গি অনুসরণ করা হয়েছে, যা কিছুটা সংকোচনমুখী। সে আলোকে পুরো অর্থবছরের জন্য অর্থ ও ঋণ কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, জাতীয় বাজেট বক্তৃতার তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য সরকারের কাঙ্ক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রাগুলো হলো যথাক্রমে ৭.৫ ও ৫.৬ শতাংশ। এ লক্ষ্য ঠিক রেখে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছে।
পুরো ২০২২-২৩ অর্থবছরে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপণ করা হয়েছে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ। আগের মুদ্রানীতিতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য রাখা হয়েছে ১৩ শতাংশ ৬০ শতাংশ। চলতি জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ১৩ দশমিক ১০ শতাংশ।
ঘোষিত নতুন মুদ্রানীতিতে সরকারের লক্ষ্যমাত্রার আলোকে ঋণ গ্রহণের প্রবৃদ্ধি ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। মোট অভ্যন্তরীণ ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১৮ দশমিক ২০ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও প্রকাশ করে। দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় মুদ্রানীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ঋণ, মুদ্রা সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ, বৈদেশিক সম্পদ কতটুকু বাড়বে বা কমবে, তার পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।