শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১
BBC24 News
রবিবার, ২৬ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | ইউরোপ | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » বেলারুশকে পরমাণুবাহী ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে রাশিয়া
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | ইউরোপ | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » বেলারুশকে পরমাণুবাহী ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে রাশিয়া
৬৫০ বার পঠিত
রবিবার, ২৬ জুন ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বেলারুশকে পরমাণুবাহী ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে রাশিয়া

---বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ রাশিয়া আগামী কয়েক মাসের মধ্যে মিত্র বেলারুশকে পরমাণু বহনে সক্ষম স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ‍প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

এই ইস্কান্দার-এম ব্যবস্থা ‘প্রচলিত ও পরমাণুবাহী উভয় ধরনের ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে’, বলেছেন তিনি।

ইস্কান্দার-এমের পাল্লা ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে জানিয়েছে।

চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি পুতিন ইউক্রেইন আক্রমণ করার পর থেকে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক চরম উত্তেজনাকর পর্যায়ে পৌঁছেছে।

গত চার মাসে তিনি একাধিকবার পারমাণবিক অস্ত্রের কথা মুখে এনেছেন, যার মাধ্যমে তিনি পশ্চিমা দেশগুলোকে তারা যেন ইউক্রেইন ইস্যুতে হস্তক্ষেপ না করে সে বিষয়ে সাবধান করে দিতে চেয়েছেন বলে ভাষ্য অনেকের।

সেইন্ট পিটার্সবার্গের বৈঠকে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো অনুরোধ করার পর শনিবার পুতিন মিনস্কের এস-২৫কে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম করতে বিমানগুলোর আধুনিকায়নে রাশিয়া সাহায্য করবে বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।

একইদিন ইউক্রেইন জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহের তুমুল লড়াইয়ের পর পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত শহর সিয়েভিয়ারোদোনেৎস্ক এখন ‘পুরোপুরি রুশ বাহিনীর দখলে’।

এর মানে দাঁড়াচ্ছে রাশিয়া এবং তাদের সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এখন লুহানস্কের প্রায় সব অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে; পার্শ্ববর্তী দোনেৎস্ক প্রদেশের বেশিরভাগ অংশেরও নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে।

লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক এই দুই প্রদেশ মিলিয়ে শিল্পসমৃদ্ধ দনবাস অঞ্চল; ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে রাশিয়া সেনা পাঠানোর পর এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়াই তাদের অন্যতম লক্ষ্য ছিল।

শনিবার এক ভিডিওবার্তায় ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে যাওয়া সব শহর ‘দখলমুক্ত’ করার আশ্বাস দিলেও যুদ্ধ যে এখন খুবই ‘কঠিন পর্যায়ে’ প্রবেশ করেছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।

“আর কত আঘাত ও ক্ষয়ক্ষতি হবে তা জানি না,” বলেছেন তিনি।

এদিকে ইউক্রেইনের উত্তর ও পশ্চিমে বিভিন্ন স্থাপনা শনিবার রাতেও রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়েছে। কিইভের পশ্চিমের সারনি শহরে রুশ হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে এবং আরও অনেকের মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে পাওয়া যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এক কর্মকর্তা।

তাদের স্থাপনায় উড়ে আসা কিছু ক্ষেপণাস্ত্র বেলারুশের ভূখণ্ড থেকে ছোড়া হয়েছে বলেও দাবি করেছে ইউক্রেইন।

রাশিয়া ইউক্রেইনে তাদের ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর পর বেলারুশ তাদেরকে নানা ধরনের সহায়তা দিলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সেনা এই সংঘাতে নামেনি।

ইউক্রেইনের গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, বেলারুশ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার মাধ্যমে রাশিয়া বেলারুশকেও যুদ্ধে টেনে আনতে চাইছে।

রুশ বাহিনী ও তাদের মিত্রদের সিয়েভিয়ারোদোনেৎস্ক দখল চলতি সপ্তাহে হতে যাওয়া জি৭ ও নেটো সম্মেলনকেও প্রভাবিত করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পশ্চিমা দেশগুলোকে ইউক্রেইন নিয়ে ‘খানিকটা বিরক্ত ও ক্লান্ত’ দেখা গেলেও শনিবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ইউক্রেইন এখনও রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জিততে পারে।ইউক্রেইন নিয়ে হাল ছেড়ে দেওয়ার সময় নয় এখন,” বলেছেন তিনি।

সেইন্ট পিটার্সবার্গে লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত বৈঠকে পুতিন বলেন, “আমরা একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বেলারুশকে আমরা কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ইস্কান্দার-এম দিতে যাচ্ছি।”

এই পরমাণু বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের পুরো ব্যাপার নিয়ে দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে, বলেছেন তিনি।

মূল ভূখণ্ডের বাইরে বাল্টিকে রুশ ছিটমহল কালিনিনগ্রাদেও এই ইস্কান্দার-এম ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা আছে। কালিনিনগ্রাদ নেটো সদস্য পোল্যান্ড ও লিথুনিয়ার মাঝে অবস্থিত।

সেইন্ট পিটার্সবার্গে দুই প্রেসিডেন্টের বৈঠকে কিছু রুশ পণ্য কালিনিনগ্রাদে নিয়ে যেতে বা সেখান থেকে আনতে লিথুনিয়ার বাধাদানের বিষয়টিও স্থান পেয়েছে।

লিথুনিয়ার ওই পদক্ষেপ মস্কোকে ক্ষেপিয়ে দিয়েছে, এর প্রতিক্রিয়া ‘লিথুনায়াবাসীর জন্য সুখকর হবে না’ বলে সতর্কও করেছে তারা।

বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো লিথুনিয়ার ওই পদক্ষেপকে ‘এক ধরনের যুদ্ধ ঘোষণা’ ও ‘অগ্রহণযোগ্য’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন।

ইউক্রেইনে মস্কোর হামলার প্রেক্ষিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেওয়া নিষেধাজ্ঞায় ইস্পাত ও বেশকিছু রুশ পণ্য পড়েছে। লিথুনিয়া বলছে, তারা ইইউ’র নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করায় কালিনিনগ্রাদ রুটে রাশিয়ার পণ্য পরিবহনের কেবল ১ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

লিথুনিয়ার পদক্ষেপ কালিনিনগ্রাদকে ‘অবরুদ্ধ’ করার শামিল বলে মস্কো যে অভিযোগ করছে ভিনিয়ুস তা উড়িয়েও দিয়েছে।



আর্কাইভ

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
পারমাণবিক আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া!
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ
ইলন মাস্কের রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে হাজির ট্রাম্প
লেবাননে নিহত দুই শতাধিক শিশু: ইউনিসেফ
মার্তিনেজের ধাঁধানো গোলে জিতল আর্জেন্টিনা
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিধি বাড়ালেন পুতিন
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল হয়নি: হাসনাত
যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন সামরিক গোয়েন্দা তথ্য চুক্তি স্বাক্ষর