শনিবার, ২৫ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » আমেরিকা | আর্ন্তজাতিক | শিরোনাম | সাবলিড » যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার বাতিল
যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার বাতিল
বিবিসি২৪নিউজ,মো.সুমন মিয়া : যুক্তরাষ্ট্র থেকেঃ যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার বাতিল করা হয়েছে। দেশটির শীর্ষ আদালত এক রায়ে জানিয়েছে, গর্ভপাতের অনুমোদন দেয়া বা না দেয়ার সিদ্ধান্ত প্রতিটি অঙ্গরাজ্য নিজের মতো করে নেবে। দেশটির অনেক প্রদেশে গর্ভধারণের ১৫ সপ্তাহের পর গর্ভপাত নিষিদ্ধ রয়েছে। মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে এই নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রাদেশিক সরকারের পক্ষে রায় দিয়েছে। এরমধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার কার্যত রহিত হয়ে গেলো।
ওই রায়ে বলা হয়েছে, গর্ভপাতের অধিকার সংবিধানের আওতায় থাকতে পারেনা। গর্ভপাত নিয়ন্ত্রণের অধিকার অবশ্যই মানুষের এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ন্যস্ত করা উচিৎ। মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে এখন রক্ষণশীল বিচারকরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার রহিত করার পক্ষে মতামত দেন ছয়জন বিচারক, বিপক্ষে দেন তিনজন।
ধারণা করা হচ্ছে এই রায়ের পর অর্ধেকের বেশি অঙ্গরাজ্যে গর্ভপাত নিষিদ্ধ হবে অথবা এর ওপর নানারকম বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে। এরইমধ্যে ১৩ অঙ্গরাজ্য এমন আইন পাশ করেছে যে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর সঙ্গে সঙ্গেই গর্ভপাত নিষিদ্ধ হবে।
এক জরিপে বলা হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যুক্তরাষ্ট্রে সন্তানধারণে সক্ষম তিন কোটি ৬০ লাখ নারী গর্ভপাতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। ডানপন্থী ও ধর্মীয় রক্ষণশীলদের জন্যে এই সিদ্ধান্ত অনেক বড় বিজয়।
তারা ১৯৭৩ সালে গর্ভপাতকে বৈধতা দেয়ার পর থেকেই এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছিল। সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাট নেতারা সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছেন। এর মধ্যে আছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি একে মৌলিক স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ বলে উল্লেখ করেছেন। প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, নিষ্ঠুর এই সিদ্ধান্তের অর্থ হচ্ছে নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মধ্যবর্তী নির্বাচনে নারীর অধিকারের বিষয়টি নির্বাচনী ইস্যু হিসেবে বিবেচিত হবে।