মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » ইউরোপ | পরিবেশ ও জলবায়ু | বিশেষ প্রতিবেদন | মিডিয়া ওয়াশ | শিরোনাম » বিশ্বে আজ অস্তিত্ব সংকটের মুহূর্তে সাংবাদিকতা : নোবেল বিজয়ী মারিয়া রেসা
বিশ্বে আজ অস্তিত্ব সংকটের মুহূর্তে সাংবাদিকতা : নোবেল বিজয়ী মারিয়া রেসা
বিবিসি২৪নিউজ,এমডি জালাল, জার্মানি- বন, থেকেঃ নোবেল বিজয়ী সাংবাদিক মারিয়া রেসার মতে মিথ্যা এবং ঘৃণা সত্যের চেয়েও দ্রুত ছড়ায়৷ জার্মানির বনে গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ফ্যাসিবাদের উত্থান মোকাবিলায় সত্যের প্রতি আস্থা পুননির্মাণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ৷”
সোমবার গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামের উদ্বোধনী দিনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ফিলিপাইন্সের সাংবাদিক মারিয়া রেসা৷ ২০২১ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এই সাংবাদিক বলেন, ‘‘আপনার কাছে যদি তথ্য না থাকে তাহলে সত্যটাও নেই, আর যদি সত্য না থাকে তাহলে আস্থাও নেই৷” বক্তৃতায় তিনি ভুয়া সংবাদ এবং গুজব ছড়ানোর জন্য বৃহৎ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি অভিযোগ করেছেন৷ তার মতে গুজব আসলে মিথ্যারই নামান্তর, যা বাস্তবতার বোধকে নষ্ট করছে এবং পুঁজিবাদী নরজরদারিকে উস্কে দিচ্ছে৷ গণমাধ্যমগুলো যাতে সেই ফাঁদে পা না দেয় সে বিষয় সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি৷
রেসা বলেন, ‘‘আমরা যাতে নিজেদের গন্তব্য নির্ধারণ করতে পারি, সেজন্য অবশ্যই আমাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে৷..ভার্চুয়াল দুনিয়াতে যদি আইনের শাসন না থাকে তাহলে বাস্তব পৃথিবীতেও আপনি আইনের শাসন পাবেন না৷” এই পরিস্থিতি কিভাবে গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলছে সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘‘তথ্যের সত্যতা যদি না থাকে, তাহলে নির্বাচনী ব্যবস্থার স্বচ্ছতাই বা কিভাবে থাকবে?”
খ্যাতনামা এই সাংবাদিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রণে নীতিমালার পাশাপাশি গণমাধ্যমগুলোর জন্য আরো অর্থ বরাদ্দের দাবি জানান৷ গণতান্ত্রিক সরকারগুলো যাতে তাদের বিদেশি উন্নয়ন সহায়তার মধ্যে সাংবাদিকতার উন্নয়নে ব্যয় করা তহবিল অন্তত দশমিক তিন শতাংশ বাড়ায় সেই আহ্বান জানান তিনি৷
বাক স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যমের হুমকি
রেসা এমন এক সময় এই বক্তৃতা দিলেন যার কয়েক দিন পরই সাবেক সৈরশ্বাসকের পুত্র ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র ফিলিপাইন্সের রাষ্ট্রপতির আসনে বসতে যাচ্ছেন৷ রোববার উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন তার নির্বাচনী সঙ্গী বিদায়ী প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের কন্যা সারা দুতার্তে৷ দুইজনই তাদের বাবার শাসনামলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করেননি৷ বরং মার্কোস জুনিয়র তার বাবার নীতি ধরেই এগোনোর ইঙ্গিতই দিয়ে রেখেছেন৷