রবিবার, ১২ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » দলের সাধারণ নেতাকর্মীদের আন্দোলনের চাপেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাকে কারাগার থেকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে : শেখ হাসিনা
দলের সাধারণ নেতাকর্মীদের আন্দোলনের চাপেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাকে কারাগার থেকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে : শেখ হাসিনা
বিবিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতিবেদক ঢাকাঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা সবসময় ঠিক থাকে জানিয়ে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নেতাকর্মীদের আন্দোলন ও চাপেই ওয়ান ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে।শনিবার দুপুরে গণভবনে তার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আন্দোলন ও চাপে বাধ্য হয় আমাকে মুক্তি দিতে। সেসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার অবাক হয় যে, ১৫ দিনে আমার মুক্তির জন্য ২৫ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়- এটাই আওয়ামী লীগ। জনগণই হল আমাদের শক্তি।
“আওয়ামী লীগকে সবসময় উজানে নাও ঠেলে চলতে হয়েছে। যতবার গ্রেপ্তার হয়েছি ততবারই নেতার্কমীদের উদ্দেশে চিঠি দিয়েছি। চিঠির মাধ্যমে নেতাকর্মীদের নিদের্শনা দিয়েছি। দেশবাসীকে চিঠি দিয়েছি। আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা সবসময় ঠিক থাকে। এটা বাবার সময়ও দেখেছি।”
কারাবন্দি থাকার সময় দেশ নিয়ে পরিকল্পনা করার কথা জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, “জেলে বসে দেশ কীভাবে চালাব। দল কীভাবে চালাব, সেসব লিখে রেখেছিলাম। কীভাবে উন্নয়ন করব সেসব পরিকল্পনা লিখে রাখি।”
অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করার প্রত্যয় পুর্নব্যক্ত করে তিনি বলেন, “দেশে ফেরার পর ‘৮৩ সালে অ্যারেস্ট করা হয়। ডিজিএফআই অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর নানা সময়েই গ্রেপ্তার হতে হয়েছে। তবে কারও কাছে কোনোদিন মাথানত করিনি, জীবন ভিক্ষা চাইনি। আমি পরিবার থেকে, বাবার কাছ থেকে, এটা শিখছি যে, কারও কাছে বা কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করব না।
“আমরা এখন সরকারে। জনমানুষের কল্যাণ আমরা বুঝি। সেটাই করে যাচ্ছি। আজ প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। মানুষ শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে সঠিকভাবে। আমরা একটা বাজেট দিয়েছি। উন্নত দেশে ডিজিপি মাইনাসে। অথচ আমরা ৫ ভাগের উপরে রেখেছি। আন্তর্জাতিকভাবে এত বাধা তবুও নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু করেছি। তারপরও কিছু মানুষ অর্জনকে অর্জন হিসেবে নিতে পারে না।”
শেখা হাসিনা বলেন, “জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছেন। এ স্বাধীনতা বৃথা যেতে পারে না। আমরা আমাদের কাজ করে যাব। সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করে যাব। যে যাই বলুক আমরা আমাদের কাজ করে যাব। “প্রজন্মের পর প্রজন্ম পর্যন্ত যেন সুফল পায় সে ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ১০০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা করেছি।”
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব আশরাফ সিদ্দিকী বিটু।