শনিবার, ৪ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » আমেরিকা | শিরোনাম | সাবলিড » ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত
বিবিসি২৪নিউজ,যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সুনির্দিষ্টভাবে দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বকে শানিত করতে বৈঠক হয়েছে। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে দিনব্যাপী বৈঠকটি হয়। ওয়াশিংটন সময় সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায়) বৈঠকটি শুরু হয় জানিয়ে দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক সংলাপ। এতে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিরা উপদেষ্টার সঙ্গে রয়েছেন। বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি এবং পরিবেশ বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি হোসে ডাব্লিউ ফার্নান্দেজ। চারটি বর্ডার আম্ব্রেলার আওতায় আলোচনা হয়। এক. বিজনেস অ্যান্ড কমার্শিয়াল এনগেজমেন্ট, দুই. লেবার, তিন. ক্লাইমেট/ এনার্জি/ হেল্থ, চার. ইনফ্রাস্ট্রাকচার/ ট্রেড অ্যান্ড ব্লু-ইকোনমি। বৈঠক সংশ্লিষ্ট সরকারি সূত্র আগেই জানিয়েছে, অর্থনৈতিক সম্পর্কের যাবতীয় ইস্যু পর্যালোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্ট্রাকচার্ড ফরমেটে এমন আলোচনা ২০২০ সাল থেকে শুরু হয়। সে বছর করোনার কারণে ভার্চ্যুয়ালি বৈঠকটি হয়েছিল।
৩০শে সেপ্টেম্বর ২০২০-এর সূচনা বৈঠকে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। সেই বৈঠক বিষয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট প্রচারিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ঐতিহাসিক সেই বৈঠকেই ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন কমার্শিয়াল সার্ভিস অফিস খোলার সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের কমার্শিয়াল সার্ভিস অফিস খোলা হচ্ছে জানিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছিল। সেই বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি ও পরিবেশ বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি, কিথ ক্র্যাখ।
প্রথম বৈঠকের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়- নতুন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসটিডিএ (ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি) এবং দেশটির এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনিয়োগ ও চুক্তির জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি হতে পারে। শুল্ক প্রশাসন, কৃষি এবং অন্যান্য বাণিজ্য খাতে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, আঞ্চলিক সংযোগ এবং বাণিজ্য নীতি ও কর্মপদ্ধতি বিষয়ে সচেতনতা ও স্বচ্ছতাসহ
বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিবেশকে আরও উন্নত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে ইউএসএআইডি এমন প্রকল্প নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
শক্তিশালী অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব ও দৃঢ়তর বন্ধন বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ উভয়েরই একটি মুক্ত, অবাধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের স্বপ্ন রয়েছে। যেখানে সকলের সমৃদ্ধি নিশ্চিত হবে। অংশগ্রহণকারীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই লক্ষ্য অর্জনে ঢাকা-ওয়াশিংটন একত্রে কাজ চালিয়ে যাবে। উল্লেখ্য, এবারের দ্বিতীয় সংলাপে সেই আলোচনার ধারাবাহিকতা ছাড়াও খাদ্য, কৃষি সহায়তা, পোশাক শিল্প, জ্বালানি, ওষুধ, তথ্য-প্রযুক্তি, টেলিকম, বাংলাদেশের শ্রমমান তথা সর্বজনীন শ্রম অধিকার, সুশাসনসহ সমসাময়িক স্পর্শকাতর ইস্যু এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত ‘ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক ফর প্রসপারিটি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৈঠক বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি।