সোমবার, ৩০ মে ২০২২
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » চীনের সঙ্গে প্রশান্ত মহাসাগরীয় ১০ দ্বীপদেশগুলোর নেতারা সম্মত হয়নি
চীনের সঙ্গে প্রশান্ত মহাসাগরীয় ১০ দ্বীপদেশগুলোর নেতারা সম্মত হয়নি
বিবিসি২৪নিউজ, আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ প্রশান্ত মহাসাগরীয় ১০ দ্বীপদেশের সঙ্গে নিরাপত্তা এবং বাণিজ্য চুক্তি করতে ব্যর্থ হয়েছে চীন। সম্ভাব্য ওই চুক্তিকে ‘আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি’ বিবেচনা করে তাতে সম্মত হয়নি দ্বীপদেশগুলোর নেতারা।
চুক্তি করতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সোমবার ফিজিতে অবস্থান করছিলেন। তিনি ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোকে এই অঞ্চলে চীনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আশ্বস্ত করতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, ক্যারিবিয়ান, আফ্রিকা এবং এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোকে দীর্ঘদিন ধরে বেইজিং সমর্থন দিয়ে আসছে। তারপরও দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে কোনো ঐক্যমতে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। সোমবার এই খবর দিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
চীনের এই শীর্ষ কূটনীতিকের ফিজি সফরের উদ্দেশ্য ছিল দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অর্থনীতি, নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নিজেদের উপস্থিতি দ্রুত বাড়ানো। ওই সম্মেলনের আগে একটি সরকারি বিবৃতির এবং পাঁচ বছরের কর্ম পরিকল্পনার খসড়াও দ্বীপদেশগুলোর নেতাদের কাছে পাঠিয়েছিল চীন।
সেই খসড়ায় স্থানীয় পুলিশকে প্রশিক্ষণ প্রদান, সাইবার নিরাপত্তার কাজে জড়ানো, রাজনৈতিক সম্পর্ক প্রসারিত করা, স্পর্শকাতর সামুদ্রিক সীমানা নির্ধারণ পরিচালনা এবং দেশগুলোর স্থল ও জলভাগের প্রাকৃতিক সম্পদে বড় পরিসরে প্রবেশের আগ্রহ প্রকাশ করেছিল চীন।
ফলো করুন-
ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন সমকাল ইউটিউব
বৈঠকের পর ওয়াং ই এবং ফিজির প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক বাইনিমারামা এক সংবাদ সম্মেলনে প্রায় ৩০ মিনিট কথা বলেন। এরপর সাংবাদিকরা যখন প্রশ্ন করার চেষ্টা করেন তখন তারা হঠাৎ করেই স্টেজ থেকে নেমে যান। আর এই কারণে বৈঠকে ঠিক কি কি বিষয়ে আলোচনা বা কি কি বিষয় সামনে এসেছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে এটা নিশ্চিত যে দ্বীপদেশগুলো চীনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেননি।
এই ব্যাপারে ফিজির প্রধানমন্ত্রী বলেন, বরাবরের মতোই আঞ্চলিক কোনো নতুন চুক্তির ব্যাপারে আলোচনায় আমাদের নিজেদের মধ্যে ঐক্যমতকে প্রাধান্য দিই। এমন একজনের কাছে, যার সমাজ ক্রমবর্ধমান সমুদ্রের তলদেশে পিছলে যাচ্ছে, মহামারিতে যে চাকরি হারাচ্ছে কিংবা যার পরিবার দ্রব্যমূল্যের দ্রুত বৃদ্ধিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার কাছে ভূরাজনৈতিক সুবিধা পাওয়ার মানে খুব বেশি কিছু না।
ফিজি ছাড়াও বৈঠকে অংশ নিয়েছে সামোয়া, টোঙ্গা, কিরিবাতি, পাপুয়া নিউ গিনি, ভানুয়াতু, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ও নিউই। তবে বৈঠকের পর চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, পাঁচটি ক্ষেত্রে সহযোগিতার ব্যাপারে দেশগুলো রাজি হয়েছে। তবে অন্যান্য ব্যাপারেও ঐক্যমতে পৌঁছানোর জন্য আলোচনা প্রয়োজন।