বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২
প্রথম পাতা » আইন-আদালত | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » মৌলভীবাজারে মানবতাবিরোধী অপরাধে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
মৌলভীবাজারে মানবতাবিরোধী অপরাধে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৌলভীবাজারের বড়লেখার আবদুল আজিজ ওরফে হাবুলসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজ বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অপর দুই আসামি হলেন মোহাম্মদ আবদুল মতিন ও আবদুল মান্নান ওরফে মনাই। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৌলভীবাজারের আব্দুল আজিজসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। দণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি হলো আব্দুল মান্নান ও আব্দুল মতিন। এর মধ্যে মতিন পলাতক রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্টাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। রায়টি ছিল সর্বমোট ২০৪ পৃষ্ঠার।
রায় ঘোষণার সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, রানা দাশ গুপ্ত, ঋষিকেশ সাহা, সুলতান মাহমুদ সীমন, সাহিদুর রহমান, জাহিদ হাসান, সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি, রাজিয়া সুলতানা চমন, ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল, মোসফেকুর রহমান ও তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক এম. সানাউল হক।
২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর এই তিন জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত শুরু হয়; যা ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর শেষ করা হয়। তিন আসামির বিরুদ্ধে একাত্তরে মৌলভীবাজারের বড়লেখা এলাকায় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনের মতো পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।
২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি মানবতাবরোধী অপরাধের মামলায় বড়লেখার তিন জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। একই বছর ১ মার্চ মৌলভীবাজারের বড়লেখা থানা পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর ২ মার্চ আব্দুল আজিজ ও আব্দুল মান্নানকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
একাত্তরে দুই সহোদর আব্দুল আজিজ ও আব্দুল মতিন ছাত্রলীগ করতো। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তারা প্রশিক্ষণ নিতে ভারতের বারপুঞ্জিতে যায়। কিন্তু প্রশিক্ষণরত অবস্থায় পালিয়ে এসে তারা রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেয়। অপর আসামি আব্দুল মান্নান একাত্তরে স্থানীয় মুসলিম লীগের নেতা ছিল। আব্দুল মতিন পলাতক রয়েছে।
মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাসহ (আইও) মোট ১৭ জন বন্দি জবানবন্দি পেশ করেন। এরপর যুক্তিতর্ক শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।