রবিবার, ৮ মে ২০২২
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | ইউরোপ | শিরোনাম | সাবলিড » ইউক্রেনের মারিউপোল থেকে সব বেসামরিক নাগরিক উদ্ধার
ইউক্রেনের মারিউপোল থেকে সব বেসামরিক নাগরিক উদ্ধার
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী মারিউপোলের অবরুদ্ধ আজভস্তাল ইস্পাত কারখানায় আটকে পড়া সব বেসামরিক নারী, শিশু ও বৃদ্ধকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা গতকাল শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। ইউক্রেনীয় উপ-প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশুচুক বার্তা আদান-প্রদানের প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামে জানিয়েছেন, মারিউপোলে মানবিক উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে। রাশিয়ার পক্ষ থেকেও একই কথা জানানো হয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, মারিউপোলের আজভস্তাল স্টিল প্ল্যান্ট থেকে তিন শতাধিক বেসামরিক নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে সেখান থেকে আহত লোকজন ও সেনাদের উদ্ধার করার পরিকল্পনার কথা বলা হচ্ছে। তবে তা অনেক কঠিন হবে বলে মনে করছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট।
যুদ্ধ শুরুর পর প্রায় দুই মাস ধরে অবরুদ্ধ মারিউপোলে আটকে আছে ইউক্রেনের অনেক নাগরিক। সবশেষ আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে শহরের আজভস্তাল স্টিল প্ল্যান্টে আত্মগোপন করেন নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ কয়েকশ যোদ্ধা। পুরো শহর নিয়ন্ত্রণে নিতে পারলেও ইস্পাত কারখানাটি এখনও ইউক্রেনের সেনাদের দখলে রয়েছে।
তবে শেষ পর্যায়ে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক রেডক্রসের সহযোগিতায় ওই ইস্পাত কারখানা থেকে বেসামরিক নাগরিকদের বের করে নেয়ার সুযোগ দেয় রাশিয়া।
জাতিসংঘ ও রেডক্রসের নেতৃত্বে সফলভাবে শতাধিক বেসামরিক লোকজনকে কারখানা থেকে সরিয়ে আনায় গুতেরেসকে ধন্যবাদ জানান জেলেনস্কি। আজভস্তাল থেকে আহত সবাইকে সরিয়ে আনতে সহায়তা করতে গত সপ্তাহে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।
আজভস্তাল কারখানা থেকে আরও বেসামরিক লোকজনকে সরে আসার সুযোগ করে দিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দেয় রাশিয়া। ৫, ৬ ও ৭ মে মস্কোর সময় সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারখানা থেকে বের হওয়ার পথ খোলা থাকার ঘোষণা দেওয়া হয়।
অনলাইনে এক পোস্টে রুশ সামরিক বাহিনী তখন জানিয়েছিল, এই সময় রুশ বাহিনী সব কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখবে এবং ইউনিটগুলোকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেবে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলার পাশাপাশি শুরুতে উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণ দিক থেকে স্থল অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। পরে ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে উত্তর দিক থেকে সেনা সরিয়ে পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে হামলা জোরদার করে মস্কো।
প্রায় পাঁচ লাখ বাসিন্দার মারিউপোল শহরটি দখল করা রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এই শহরটি আজভ সাগরে ইউক্রেনের কৌশলগত বন্দর এবং ডনবাস অঞ্চলে রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোর কাছেই অবস্থিত।