শুক্রবার, ৬ মে ২০২২
প্রথম পাতা » জেলার খবর | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » নেত্রকোনা মা ও নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় পশুচিকিৎসক গ্রেপ্তার
নেত্রকোনা মা ও নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় পশুচিকিৎসক গ্রেপ্তার
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার বারহাট্টায় সন্তান প্রসব করানোর সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মা ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় পশুচিকিৎসক আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই প্রসূতির স্বামীর করা মামলায় গ্রেপ্তার করে তাঁকে আজ শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার গঠন করা কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
গত বুধবার বেলা দুইটার দিকে বারহাট্টার চন্দ্রপুর গ্রামে পশুচিকিৎসক দিয়ে অস্ত্রোপচার করাতে গিয়ে প্রসূতি শরীফা আক্তার (২০) ও তাঁর নবজাতকের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে শুক্রবার মিডিয়াতে ‘পশুচিকিৎসক দিয়ে অস্ত্রোপচার, মা ও নবজাতকের মৃত্যু’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। শরীফা আক্তার চন্দ্রপুর গ্রামের হাইছ উদ্দিনের মেয়ে। তিনি এবার বারহাট্টা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। গত বছর সুনামগঞ্জের তাহেরপুর উপজেলার নামাগাঁও গ্রামে মহসিন মিয়ার সঙ্গে শরীফার বিয়ে হয়। আর অভিযুক্ত পশুচিকিৎসক আবুল কাশেম একই উপজেলার জীবনপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এলাকায় পশুচিকিৎসার পাশাপাশি মানুষের চিকিৎসাও করেন।
আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান জুয়েল বলেন, এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে নিহত শরীফার স্বামী বাদী হয়ে অপচিকিৎসার অভিযোগ এনে আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পর ওই হাতুড়ে চিকিৎসককে আজ সকালে নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মা ও নবজাতক মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে বৃহস্পতিবার গঠিত তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটির প্রধান করা হয়েছে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানকে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানজিদা চৌধুরী ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শিহাব উদ্দিন। মোস্তাফিজুর রহমান আজ শুক্রবার বিকেলে মুঠোফোনে বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকলেও মা ও নবজাতকের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন করতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তাঁরা। সেখানে উপস্থিত এলাকাবাসী, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে।
মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, সব বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করা হচ্ছে। বাচ্চা প্রসব করাতে গিয়ে এপিওসটমি (যৌনাঙ্গ আংশিক কাটা) করা ও স্যালাইনের সঙ্গে ব্যথা বাড়ানোর ইনজেকশন দেওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত পশুচিকিৎসক আবুল কাশেম পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তাঁর সনদ দেখাতে বলা হবে।