শুক্রবার, ৬ মে ২০২২
প্রথম পাতা » আমেরিকা | আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » যুক্তরাষ্ট্রে ৪০ লাখের বেশি মানুষ স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছেন
যুক্তরাষ্ট্রে ৪০ লাখের বেশি মানুষ স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছেন
বিবিসি২৪নিউজ,মো.সুমন মিয়া (নিউইয়র্ক) যুক্তরাষ্ট্র থেকেঃ আমেরিকানদের মাঝে চাকরি ছাড়ার প্রবণতা বেড়ে গেছে। মার্চ মাসে ৪ দশমিক ৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছেন। এতে অনেক প্রতিষ্ঠানেই ব্যাপক সংখ্যক পদ খালি পড়ে আছে। এমন তথ্যই উঠে এসেছে মার্কিন শ্রম বিভাগের একটি প্রতিবেদনে।করোনাকালীন আমেরিকার অনেক প্রতিষ্ঠানই রিমোট ওয়ার্ক পলিসি বা অফিসে না এসেও কাজ করার নীতি চালু করেছিল। তবে কোভিড-১৯ মহামারির লাগাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসায় প্রতিষ্ঠানগুলো এ নীতি পরিবর্তন করে তাদের কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে ফিরে আসতে বলছে। এতে অনেক আমেরিকান কর্মক্ষেত্রে ফেরত আসার পরিবর্তে চাকরিই ছেড়ে দিচ্ছেন।মঙ্গলবার (০৩ মে) প্রকাশিত মার্কিন শ্রম বিভাগের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্চ মাসে ৪ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন মানুষ তাদের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। যা সর্বকালের সর্বোচ্চ। এটি এক বছর আগের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেশি। এছাড়া চাকরিতে নিয়োগের পদ সংখ্যাও ব্যাপক আকারে বেড়েছে। যার পরিমাণ ১১ দশমিক ৫ মিলিয়ন। কারণ নিয়োগকর্তারা ক্রমবর্ধমান শ্রম ব্যয়ের মুখে খালি হয়ে যাওয়া পদগুলো পূরণের জন্য লড়াই করছেন।করোনা অতিমারির ধাক্কায় বিপর্যস্ত শ্রমখাত নিয়ে মার্চের এ প্রতিবেদনটি ‘গ্রেট রেজিগনেশন বা মহাপদত্যাগ’ নামে পরিচিত। এ পরিসংখ্যানের আলোকে, ২০২১ সালের এপ্রিলের আগে এমন কোনো মাস ছিল না যে মাসে ৪ মিলিয়ন আমেরিকান তাদের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। তবে গেল ১০ মাসে চাকরি ছাড়ার প্রবণতা ক্রমাগত বাড়ছে এবং মার্চে যে সংখ্যক কর্মী চাকরি ছেড়েছে, তা মোট মার্কিন কর্মশক্তির প্রায় ৩ শতাংশের সমতুল্য।এদিকে খালি হয়ে যাওয়া এ পদগুলো পূরণ করতে মার্কিন নিয়োগকর্তারা মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কর্মীদের আকৃষ্ট করতে তারা উচ্চ মজুরি, বোনাস এবং সুযোগ-সুবিধা প্যাকেজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিচ্ছেন।আমেরিকানরা কাজ থেকে দূরে থাকার সময়কে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তাই কিছু কোম্পানি কর্মীদের আকৃষ্ট করতে ছুটি বাড়িয়ে দিয়েছে। কর্মী নিয়োগে মরিয়া নিউইয়র্কের একটি প্রযুক্তি কোম্পানি নতুন নিয়োগ পাওয়া কর্মীদের কাজ শুরু করার আগে দুই সপ্তাহের বেতনসহ ছুটি দেয়ার কথা জানিয়েছে।অনলাইন কর্মসংস্থান মার্কেটপ্লেস জিপরিক্রুটারের প্রধান অর্থনীতিবিদ জুলিয়া পোলাক বলেন, মহামারি করোনার সময়ে নিয়োগকর্তারা রিমোট ওয়ার্কের সুবিধা দিয়েছেন। কিন্তু এখন কর্মীদের অফিসে ফিরে যেতে বাধ্য করায় সাম্প্রতিক এ পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।