বৃহস্পতিবার, ৫ মে ২০২২
প্রথম পাতা » আমেরিকা | আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » বাইডেন দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম বছরেই যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ ইমিগ্রান্ট সংখ্যা১০ লাখ বৃদ্ধি
বাইডেন দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম বছরেই যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ ইমিগ্রান্ট সংখ্যা১০ লাখ বৃদ্ধি
বিবিসি২৪নিউজ, মো.সুমন মিয়া (নিউইয়র্ক) যুক্তরাষ্ট্র থেকেঃ যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেশন অফ আমেরিকান ইমিগেশন রিফর্মের (এফএআইআর) এক অপ্রকাশিত রিপোর্টের বরাত দিয়ে ফক্স নিউজ জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন দায়িত্ব গ্রহণের পর তার মেয়াদের প্রথম বছরেই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী অবৈধ ইমিগ্রান্ট সংখ্যা আরও ১০ লাখ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এর ফলে আমেরিকান করদাতাদের ব্যয় হয়েছে আনুমানিক ৯.৪ বিলিয়ন ডলার। রক্ষণশীল সংগঠন খবরে এ তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে। এফএআইআর এর বিশ্লেষণে বলা হয়েছে যে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী ইমিগ্রান্টের সংখ্যা ১৫.৫ মিলিয়ন বা এক কোটি ৫৫ লাখ, যা ২০২০ সালে ছিল ১৪.৫ মিলিয়ন বা এক কোটি ৪৫ লাখ। অবশ্য কিছু কিছু সংস্থার সমীক্ষায় বছরের পর বছর অবৈধ ইমিগ্রান্টের সংখ্যা ১১ মিলিয়ন বা এক কোটি ১০ লাখ উল্লেখ করা হচ্ছে। কিন্তু যারা ইমিগ্রেশন বিষয়ে কাজ করেন তাদের মনে এ সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে যে সময় অতিক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সংখ্যা স্থির থাকে কীভাবে।এফএআইআর সমীক্ষায় অবৈধ ইমিগ্রান্টদের পেছনে রাষ্ট্রের ব্যয়ের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে যে অবৈধ ইমিগ্রান্টরা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ১৪৩.১ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক বোঝা চাপিয়েছে। ২০২০ সাল থেকে বাড়তি ৯.৪ বিলিয়ন ডলার যোগ হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় অবৈধ ইমিগ্রান্টদের কাজে নিয়োগ করতে শুরু করেছে এবং বহু দায়িত্বহীন নিয়োগকারী এই সুযোগ নিয়ে সস্তায় লোক নিয়োগ করছে, যাতে কোভিড মহামারীর সময়ে তাদের যে লোকসান হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে পারে। এই অনৈতিক লোক নিয়োগ অসংখ্য বেকার আমেরিকানের কর্মসংস্থান লাভের সুযোগ অবরুদ্ধ করে রেখেছে।এফএআইআর এর বিশ্লেষণ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমলে সীমান্তে ইমিগ্রান্টদের দ্রুত বহিস্কার করা যে নীতি গ্রহণ করা হয়েছিল, প্রেসিডেন্ট বাইডেন দায়িত্ব গ্রহণ করার পর সীমান্ত নীতির আওতা সংকুচিত করা হয়েছে এবং ইমিগ্রান্টদের সীমান্ত থেকে হটিয়ে দেওয়ার কার্যক্রম পূর্বাবস্থায় নেই।সংস্থাটির দাবী হচ্ছে ইউএস ইমিগ্রেশন এন্ড কাষ্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) এর কর্তব্য পালন কার্যকরভাবে বিলোপ করা হয়েছে এবং এখন আইস ইউএস কাস্টমস এন্ড বর্ডার প্রটেকশনকে দক্ষিণ সীমান্ত সুরক্ষা থেকে সরে আসতে এবং এমন সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যা অবৈধ ইমিগ্রেশনকে উৎসাহিত করে। অবৈধ ইমিগ্রান্ট ডিপোর্ট করার ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের কার্যক্রমের আওতা সীমাবদ্ধ করার অংশ হিসেবে মাইগ্রেন্ট প্রটেকশন প্রটোকলস’ বিলুপ্ত করা হয়েছে এবং টেম্পোরারি প্রটেকটেড স্ট্যাটাসে (টিপিএস) থাকা ইমিগ্রান্টদের সুনির্দিষ্ট মেয়াদের পর তাদের নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও তাদের যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান দীর্ঘতর করার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। এছাড়াও অবৈধ ইমিগ্রান্টদের যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রতিশ্রতি প্রদান অব্যাহত রাখা হয়েছে ইমিগ্রেশন সংস্কার নীতির অংশ হিসেবে, যা দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি। এফএআইআর এর প্রেসিডেন্ট ড্যান স্টেইন বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং তার প্রশাসনের মুখ্য পদগুলোতে যেসব লোককে বসানো হয়েছে তারা উন্মুক্ত সীমান্ত নীতির পক্ষে বলছেন, যা কোনো সার্বভৌম জাতির কাজ হতে পারে না। কিন্তু গত এক বছরে দশ লাখ লোকের অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ঘটনা থেকে প্রমাণ হয় যে প্রশাসন অবৈধ অনুপ্রবেশের ব্যাপারে উদার নীতি গ্রহণ করার কারণে বন্যার পানির মত অবৈধ বিদেশিরা যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকছে। উল্লেখ্য, গত এক বছরে সর্বোচ্চ ৩.৩ মিলিয়ন অবৈধ ইমিগ্রান্ট ক্যালিফোর্নিয়া সীমান্ত দিয়ে, ২.২ মিলিয়ন টেক্সাস হয়ে, ১.২ মিলিয়ন ফ্লোরিডা হয়ে এবং নিউইয়র্কে ১.১ মিলিয়ন ইমিগ্রান্ট প্রবেশ করেছে।