মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » তথ্যপ্রযুক্তি | পরিবেশ ও জলবায়ু | লাইফস্টাইল | সাবলিড » টুইটারের নতুন মালিক‘ এলন মাস্ক
টুইটারের নতুন মালিক‘ এলন মাস্ক
বিবিসি২৪নিউজ,মো.সুমন মিয়া (নিউইয়র্ক) যুক্তরাষ্ট্র থেকেঃ অনেক জল্পনা কল্পনার পর শেষ পর্যন্ত জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানায় থাকা পরিচালনা পর্ষদ। বিড করার ঠিক দুই সপ্তাহ পর ৪৪ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে এলন মাস্কের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার কেনার জন্য টেক বিলিয়নেয়ার এলন মাস্ক ৪৪ বিলিয়ন ডলারের যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তাতে রাজি হয়েছে টুইটার বোর্ড।
দুই সপ্তাহ আগে মি. মাস্ক টুইটার কেনার জন্য প্রস্তাব দিয়ে বলেছিলেন, টুইটারের ‘অনেক সম্ভাবনা’ আছে এবং তিনি সেটি কাজে লাগাবেন।
টুইটারে ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা এবং কনটেন্ট-এর উপর বিধিনিষেধ শিথিল করাসহ বেশ কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছেন তিনি।
প্রথমদিকে মি. মাস্কের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিল টুইটার বোর্ড। কিন্তু এখন তারা বলছে, বিক্রির পক্ষে ভোট দেবার জন্য শেয়ারহোল্ডারদের আহবান জানাবে।
ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকা অনুযায়ী, এলন মাস্ক বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, যার সম্পদ প্রায় ২৭৪ বিলিয়ন ডলার।
বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা এবং মহাকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠা স্পেস-এক্স -এর মালিক এলন মাস্ক।টুইটার কেনার প্রস্তাব দেবার সময় মি. মাস্ক বলেছিলেন, তিনি আরো বেশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দেখতে চান।
টুইটার কেনার জন্য মি. মাস্ক এমন এক সময়ে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যখন সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমটির সমালোচনায় মুখর হন মার্কিন রাজনীতিবিদ এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো।
টুইটারে ভুয়া খবর এবং ভুল তথ্যের বিষয়গুলোকে যেভাবে মোকাবেলা করা হচ্ছিল, সেগুলো নিয়ে সমালোচনা উঠেছে।
গত বছর আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে টুইটারে নিষিদ্ধ করা হয়। ‘সহিংসতা উস্কে দিতে পারে’ এমন আশঙ্কায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলে টুইটার।
এলন মাস্কের টুইটার কেনার প্রস্তাবে আমেরিকার ডানপন্থী রাজনীতিবিদরা বেশ খুশি। যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প ফক্স নিউজকে বলেন, টুইটারে আবার ফিরে যাবার তার কোন পরিকল্পনা নেই।
টুইটারে মি. মাস্কের আট কোটির বেশি ফলোয়ার আছে। এই প্লাটফর্মে তার বিতর্কিত ইতিহাসও রয়েছে।
সাংবাদিকদের সাথে মি. মাস্কের যেমন বিরোধ আছে, তেমনি সমালোচনা করার কারণে তিনি টুইটারে অনেক ব্যক্তিকে ব্লকও করেছেন।
এখন তিনি বলছেন, টুইটার হচ্ছে একটি বিতর্কের ফোরাম।
“আমি আশা করি, আমার সবচেয়ে কড়া সমালোচকও টুইটারে থাকবে। কারণ এটাই হচ্ছে বাক স্বাধীনতা,” বলেন মি. মাস্ক।