বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » কৃষ্ণসাগরে রুশ প্রধান জাহাজে বিস্ফোরণ
কৃষ্ণসাগরে রুশ প্রধান জাহাজে বিস্ফোরণ
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার নৌবহরের এক ফ্ল্যাগশীপ জাহাজ আগুন এবং গোলাবারুদ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, মিসাইলবাহী জাহাজ মস্কভার সব ক্রুকে জাহাজ থেকে নামিয়ে আনা হয়েছে, এবং আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলছে, মস্কভায় আগুন ছড়িয়ে পড়লে জাহাজে রাখা গোলাবারুদ একের পর এক বিস্ফোরিত হয়।
কীভাবে এই আগুন কেন লাগে সে সম্পর্কে বিবৃতিতে কোন কারণ দেখানো হয়নি।তবে ইউক্রেনের ওডেসা অঞ্চলের গভর্নর বলছেন, ইউক্রেন বাহিনীর ছোঁড়া দুটি নেপচুন মিসাইল মস্কভার ওপর আঘাত হেনেছে।
কৃষ্ণসাগরের এই নৌবহর থেকে রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গায়, বিশেষভাবে মারিউপোলের ওপর, মিসাইল হামলা চালানো হয়।ফ্ল্যাগশীপ জাহাজ হচ্ছে কোন নৌবহরের নেতৃত্বদানকারী জাহাজ যেটি অধিনায়ক ব্যবহার করেন।
নৌবহরের অন্যান্য জাহাজের তুলনায় ফ্ল্যাগশীপ জাহাজ সাধারণত খুবই দ্রুতগামী এবং শক্তিশালী হয়।
ক্রুজার মস্কভা ২০০০ সাল থেকে কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবহরের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল।
রাশিয়া ম্যারিটাইম স্টাডিজ ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক মাইকেল পিটারসন বিবিসিকে জানান, ১২,৫০০-টন ওজনের জাহাজ মস্কভা রুশ নৌ-শক্তির অন্যতম প্রতীক।
সিরিয়াসহ রাশিয়ার বহু সামরিক অভিযানে এই জাহাজটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
লক্ষণীয় ব্যাপার হলো এখন ইউক্রেনের ওপর হামলার কাজে এই জাহাজটি ব্যবহার করা হলেও ১৯৮০ দশকে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ইউক্রেনের এক ডক ইয়ার্ডে জাহাজটি নির্মাণ করা হয়।বিবিসির নিরাপত্তা বিষয়ক সংবাদদাতা ফ্র্যাংক গার্ডনার বলছেন, সামরিক এবং মনোবলের দিক থেকে এটা রাশিয়ার জন্য বড় আঘাত।
মস্কভা জাহাজ নিয়ে আলোচনা ছিল ইউক্রেন যুদ্ধের গোড়ার দিকে।
সে সময় একটি দ্বীপ স্নেক আইল্যান্ডে এই জাহাজ গিয়ে সেখানে মোতায়েন সব ইউক্রেনীয় সৈন্যকে আত্মসমর্পণ করার জন হুমকি দেয়।
কিন্তু ঐ জাহাজ থেকে মিসাইল হামলার মুখে ইউক্রেনের সৈন্যরা জবাব দেয়: জাহান্নামে যাও।
ফ্র্যাংক গার্ডনার লিখছেন, এখন মস্কভায় এই ঘটনার পর অধিকতর নিরাপত্তার স্বার্থে রুশ জাহাজগুলিকে উপকূল থেকে আরও দূরে সরে যেতে হবে।
একদা ক্ষমতাধর জাহাজ মস্কভার এই পরিণতিকে এক উপযুক্ত বিচার বলে বিবেচনা করা যায়, তিনি লিখছেন।