রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » জেলার খবর | প্রিয়দেশ » ময়মনসিংহে রমজান শুরুতেই সয়াবিন তেলের সংকট
ময়মনসিংহে রমজান শুরুতেই সয়াবিন তেলের সংকট
বিবিসি২৪নিউজ, দিলীপ কুমার দাস, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের রোজার আগের দিন হঠাৎ বাজারে খোলা সয়াবিন তেল সংকট দেখা দিয়েছে। কিছু দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল থাকলেও পরিমাণে খুবই কম।শনিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর প্রধান মেছুয়া বাজারের প্রায় সবকটি দোকানে ঘুরে কোনো দোকানেই খোলা সয়াবিন পাওয়া যায়নি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতা ও ভোক্তারা।
মেছুয়া বাজারের মেসার্স মিলন পালের ম্যানেজার আশুতোষ সাহা বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত তেলের দামের সঙ্গে সয়াবিন তেলের উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। এজন্য মিল মালিকরা আমাদের সয়াবিন তেল দিচ্ছে না। যে কারণে বাজারে খোলা সয়াবিন তেল নেই। তবে, পামওয়েল তেল আছে।’
তিনি জানান, শুক্রবার (১ এপ্রিল) পামওয়েল ১৫৫ টাকা বিক্রি হলেও চাহিদা বেশি হওয়ায় আজ ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কোয়ালিটি তেল ১৬০ টাকা, নারিকেল তেল ৬০০ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬০ টাকা ও সরিষার তেল ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ইলিয়াস আহমেদ নামের একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘ত্রিশাল থেকে ময়মনসিংহে বাজার করতে আসছি। কিন্তু, বাজারে এসে খোলা সয়াবিন তেল না পাওয়ায় ১৬০ টাকা কেজি দরে কোয়ালিটি তেল কিনেছি।’
বাজারের সিন্ডিকেট না ভাঙতে পারলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন এ ব্যবসায়ী।
নয়ন পাল স্টোরের নয়ন পাল বলেন, ‘আমরা মেসার্স মিলন পালের দোকান থেকে খোলা সয়াবিন তেল এনে বিক্রি করি। তাদের দোকানে তেল নেই। তাই আমাদের দোকানেও তেল নেই। বিক্রিও বন্ধ।’
রমজান উপলক্ষে বাজার করতে এসেছেন আরমান মিয়া। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল থেকে রোজা। তাই বাজার করতে এসেছি। কিন্তু, বাজারে এসে দেখি সয়াবিন তেল নেই। তাই, সয়াবিন তেল না কিনে সরিষার তেল কিনেছি। আমরা সাধারণ মানুষ বাজারের এ ধরনের অরাজকতা থেকে মুক্তি চাই।’
সুমন অয়েল মিলের বিক্রেতা মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘রোজার আগের দিন অনেক ক্রেতা আসার কথা ছিল। কিন্তু, বাজারে খোলা সয়াবিন তেল না থাকায় ক্রেতা নেই। তাই বেকার বসে আছি।’
তিনি বলেন, সয়াবিন তেলের দামের চাইতে উৎপাদন ও কাঁচামালের খরচ বেশি। এ কারণে মিল মালিকরা সয়াবিন তেল উৎপাদন করতে পারছেন না। যে কারণে বাজারে সয়াবিন তেল নেই।