ময়মনসিংহে মেয়েকে গলা কেটে হত্যা, মা আটক
বিবিসি২৪নিউজ, দিলীপ কুমার দাস, ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহে ফুলবাড়ীয়া উপজেলার এক পল্লীতে নিজের চার বছর বয়সী এক কন্যা শিশুকে জবাই করে হত্যা করেছে মা নাজমা খাতুন (৩০)। এ ঘটনায় ঘাতক মা নাজমা খাতুনকে আটক করা হয়েছে।
এনিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। নিহত শিশুর নাম মাহমুদা আক্তার (৪)। ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় এক পাষন্ড মা তার চার বছরে মেয়ে শিশুকে কাঁচি দিয়ে জবাই করে হত্যা করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে। আটক করা হয়েছে ঘাতক মা নাজমা বেগমকে (৩২)। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়নের দাওসা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুর নাম মাহমুদা (৪)। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ৫ বছর আগে পাশ্ববর্তী মুক্তাগাছা উপজেলার দাওগাঁও ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের রমজান আলীর সাথে বিয়ে হয় ফুলবাড়ীয়া উপজেলার দাওসা গ্রামের হযরত ফকিরের মেয়ে নাজমা বেগমের। বিয়ের পর থেকে নাজমার স্বামী মাদক ও জুয়া খেলায় আসক্ত হওয়া ৩ মাসের অন্ত:স্বত্বা অবস্থায় বাবার বাড়ী চলে আসে নাজমা। তারপর থেকে বাবার বাড়ীতেই থাকত সে।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) শিশু মাহমুদা পাশের বাড়ীর উঠানে খেলা করার সময় মা নাজমা কাঁচি দিয়ে সন্তান মাহমুদাকে মাটিতে ফেলে জবাই করে। পরে শিশুটি চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে শিশুটিকে উদ্ধার করলে কিছুক্ষনের মধ্যেই শিশুটি মারা যায়। এ সময় ঘাতক মা নাজমাকে আটক করে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা।
ফুলবাড়ীয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা জাকির হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় শিশুর মা নাজমা বেগমকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে আটক নাজমা নিজেই শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তবে কি কারনে এই হত্যাকান্ড এই বিষয়ে জানতে তাকে আরো ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই বিষয়ে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।