বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | ইউরোপ | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » ন্যাটোর সদস্য পদ আর চায় না ইউক্রেন: জেলেনস্কি
ন্যাটোর সদস্য পদ আর চায় না ইউক্রেন: জেলেনস্কি
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য পদ পাওয়ার বিষয়টিতে আর জোর দিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
জেলেনস্কি একজন দোভাষীর মাধ্যমে এবিসি নিউজকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তাঁর সাক্ষাৎকারটি গত সোমবার রাতে প্রচার করা হয়। এই সাক্ষাৎকারে তিনি ন্যাটোর সদস্য পদ নিয়ে কথা বলেন।
ইউক্রেনের ন্যাটোর সদস্য পদ–সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে জেলেনস্কি বলেন, তিনি অনেক আগেই এ ব্যাপারে শান্ত হয়েছেন, যখন তাঁরা বুঝতে পেরেছেন যে ইউক্রেনকে গ্রহণ করতে ন্যাটো প্রস্তুত নয়। তাই তিনি এখন আর ন্যাটোর সদস্য পদ পাওয়ার বিষয়টিতে জোর দিচ্ছেন না।
ন্যাটো বিতর্কিত বিষয়গুলোকে ভয় পায় বলে মন্তব্য করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাতের ব্যাপারেও ন্যাটো শঙ্কিত।
ন্যাটোর সদস্য পদ পাওয়া না পাওয়া সম্পর্কে জেলেনস্কি বলেন, তিনি এমন একটি দেশের প্রেসিডেন্ট হতে চান না, যে দেশটি হাঁটু গেড়ে কিছু ভিক্ষা করে।ন্যাটোর সদস্য পদ বিষয়ে জেলেনস্কির এই অবস্থান মস্কোকে আপাতত শান্ত করার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
রাশিয়া বলে আসছে, তারা কোনোভাবেই চায় না যে প্রতিবেশী ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দিক। পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সম্প্রসারণকে একটি হুমকি হিসেবে দেখে থাকে রাশিয়া।
প্রতিবেশী ইউক্রেনে হামলার অজুহাত হিসেবে যেসব কারণের কথা রাশিয়া বলছে, তার মধ্যে অন্যতম কিয়েভের ন্যাটোর সদস্য পদ পাওয়ার চেষ্টা।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এই হামলার তিন দিন আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্ব ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত দুটি এলাকাকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন। এলাকা দুটি হলো দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক।
যুদ্ধ বন্ধের জন্য ইউক্রেনকে রাশিয়া যেসব শর্ত দিয়েছে, তার মধ্যে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির বিষয়টি রয়েছে। পুতিন চান, এই দুটি এলাকাকে ইউক্রেন স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিক।রাশিয়ার এই দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে জেলেনস্কি বলেন, দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের বিষয়ে একটা ‘আপস’ করার জন্য তিনি খোলামনে আছেন। এ নিয়ে সংলাপের জন্য তিনি খোলামনে রয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘আমি নিরাপত্তা গ্যারান্টির কথা বলছি।’ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, এই দুটি অঞ্চলকে রাশিয়া ছাড়া আর কেউ স্বীকৃতি দেয়নি। তবে তাঁরা এ বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন। এই অঞ্চল দুটি কীভাবে থাকবে, সে বিষয়ে সমঝোতার উপায় খুঁজতে পারেন।