নিত্যপণ্যের দামে দিশেহারা মানুষ
বিবিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতিবেদক ঢাকাঃ দেশে বেশির ভাগ নিত্যপণ্যের দাম আগে থেকেই চড়া। এর মধ্যে নতুন করে বাড়ল আটা-ময়দা ও মাছ-মাংসের দাম।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত এক সপ্তাহে আটা ও ময়দার দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। বাণিজ্যিক খামারে চাষ করা বিভিন্ন মাছের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা। নদী ও খাল-বিলের মাছের দাম অন্য সময়ের চেয়ে কেজিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা বেশি চাইছেন বিক্রেতারা।
এদিকে বাজারে খোলা সয়াবিন ও পাম তেল পাওয়া যাচ্ছে না। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট কাঁচাবাজার, টাউন হল বাজার ও কারওয়ান বাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করতে দেখা যায়নি। তবে কোনো কোনো দোকানে পাম সুপার তেল বিক্রি করতে দেখা যায়। বিক্রেতারা প্রতি কেজি পাম তেল ১৮০ টাকা ও প্রতি লিটার ১৬২ টাকায় বিক্রি করছিলেন। সরকার নির্ধারিত দাম ১৩৩ টাকা।
তিনটি বাজার ঘুরে গতকাল গরুর মাংস ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। গত মাসেও এই দর ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা ছিল। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের গোলাম মোর্তজা গোশত বিতানের বিক্রেতা মো. জনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিজেরা চার-পাঁচটা গরু জবাই করি। তাই কম দামে (৬০০ টাকা) বেচতে পারছি।’
ব্রয়লার মুরগির দাম কমেনি। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা।
মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট কাঁচাবাজার, টাউন হল বাজার ও কারওয়ান বাজারে গতকাল পাঙাশ মাছের কেজি (আকারভেদে) ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়। বিক্রেতারা বলছেন, কিছুদিন আগেও এই মাছের কেজি ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া মাঝারি আকারের রুই, কাতল, মৃগেল ও কালবাউশের দাম এখন ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা।দাম বেড়েছে আটা ও ময়দারও।