বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » রাশিয়া-ইউক্রেনে যুদ্ধের পাশাপাশি দ্বিতীয় দফা শান্তি আলোচনার প্রস্তাব
রাশিয়া-ইউক্রেনে যুদ্ধের পাশাপাশি দ্বিতীয় দফা শান্তি আলোচনার প্রস্তাব
বিবিসি২৪নিউজ, ফরিদা ইয়াসমিন ওয়াশিংটন থেকেঃ রাশিয়ান বাহিনী ইউক্রেনের একাধিক শহরে গোলাবর্ষণ করেছে। একই সময়ে রুশ কর্মকর্তারা বলেছেন যে তারা ইউক্রেনের সাথে আরেক দফা আলোচনার জন্য প্রস্তুত । একজন প্রধান রাশিয়ান বিরোধী দলীয় নেতা রাশিয়া এবং সারা বিশ্বের জনগণকে ইউক্রেনের আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিদিন প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন যে, এ সপ্তাহের শুরুতে প্রথম দফা আলোচনার পরে একটি রাশিয়ান প্রতিনিধি দল ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের সাথে দ্বিতীয় দফা আলোচনার জন্য প্রস্তুত ।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, ইউক্রেনও কূটনৈতিক পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত, কিন্তু “কোনও রুশ আল্টিমেটাম মেনে নিতে প্রস্তুত নয়।” তিনি আরও বলেন, নতুন দফা আলোচনা কবে হবে তা এখনো জানা যায়নি।
জেলেনস্কি মঙ্গলবার বলেছেন যে আলোচনার সুযোগ দেওয়ার জন্য রাশিয়াকে প্রথমে তার লড়াই বন্ধ করতে হবে।
মঙ্গলবার গভীর রাতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন যে, রাশিয়ান নেতা ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিবেশী ইউক্রেন আক্রমণ করে এবং মুক্তবিশ্বকে “তার হুমকির সামনে নত করতে বাধ্য করতে পারেন” এমন চিন্তা করে “হিসেবে বড় ভুল করেছেন”।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বুধবার একটি প্রস্তাবে ভোট দেবে বলে আশা করা হচ্ছে যাতে রাশিয়াকে অবিলম্বে ইউক্রেন থেকে তার সামরিক বাহিনী প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়।প্রস্তাবটিতে এই সপ্তাহের শুরুতে রাশিয়ার পারমাণবিক শক্তির “প্রস্তুতি বাড়ানোর” পুতিনের পদক্ষেপের নিন্দা করা হয়।
প্রস্তাবটি বাধ্যতামূলক না হলেও এটি আন্তর্জাতিক মতামতের নির্দেশক। এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ব্যর্থ হয় কারণ রাশিয়া তার ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করে অনুরূপ একটি প্রস্তাবে বাধা দেয়।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বলেছে যে, বৃহস্পতিবার থেকে ৬ লাখ ৭৭ হাজারেরও বেশি মানুষ, যাদের বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু, ইউক্রেন থেকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে গেছে। তারা বলেছে, শেষ পর্যন্ত ৪০ লাখ মানুষ ইউক্রেন থেকে পালিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বুধবার ইইউ কমিশন ঘোষণা করেছে যে তারা শরণার্থীদের অস্থায়ী বসবাসের অনুমতি দেবে; এখন শুধু সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অনুমোদনের অপেক্ষা।
এ প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি,এএফপি ও রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।