শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | ইউরোপ | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » কিয়েভকে রক্ষা করতে রাজপথে অস্ত্র হাতে সাবেক প্রেসিডেন্ট
কিয়েভকে রক্ষা করতে রাজপথে অস্ত্র হাতে সাবেক প্রেসিডেন্ট
বিবিসি২৪নিউজ,ইইউ প্রতিনিধিঃ ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের রাজপথে রাইফেল হাতে সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো। তিনি বলেন, ইউক্রেনের জনগণ অস্ত্র হাতে দেশরক্ষায় প্রস্তুত।মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পোরোশেঙ্কো বলেন, ‘সবার বোঝা উচিত, পুতিন (রুশ প্রেসিডেন্ট) শুধু ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেননি, পুরো বিশ্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।’
এই সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় পোরোশেঙ্কোর হাতে কালাশনিকভ রাইফেল ছিল। সিএনএনের প্রকাশিত ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, পোরোশেঙ্কো একটি রাইফেল নাড়াচাড়া করছেন। এ সময় তাঁর আশপাশে সশস্ত্র ব্যাটালিয়ন সদস্যদেরও দেখা যায়।এই সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় পোরোশেঙ্কোর হাতে কালাশনিকভ রাইফেল ছিল। সিএনএনের প্রকাশিত ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, পোরোশেঙ্কো একটি রাইফেল নাড়াচাড়া করছেন। এ সময় তাঁর আশপাশে সশস্ত্র ব্যাটালিয়ন সদস্যদেরও দেখা যায়।
সাক্ষাৎকারে পোরোশেঙ্কো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘পাগল’ বলে উল্লেখ করেন। পোরোশেঙ্কো বলেন, পুতিন উন্মাদ হয়ে গেছেন। শুধু ইউক্রেনের জনগণকে হত্যা করার জন্য এই হামলা চালিয়েছেন। ইউক্রেনের সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেন ও রুশ বাহিনীর যুদ্ধস্থল থেকে তাঁর নিজস্ব ব্যাটালিয়ন দুই থেকে তিন কিলোমিটারের মধ্যেই অবস্থান করছে। তিনি বলেন, এখন ইউক্রেনের প্রয়োজন পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তা। রাশিয়ার ওপর অবরোধ আরোপ করা, সুইফট নেটওয়ার্ক থেকে বের করে দেওয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও সামরিক জোট ন্যাটোর বন্দরগুলো রাশিয়ার বিমান-জাহাজগুলো আটকে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।পোরোশেঙ্কো দৃঢ়ভাবে বলেন, পুতিন কখনোই রাজধানী কিয়েভ দখল করতে পারবেন না। তিনি বলেন, ‘রুশ হামলায় কতজন সেনা নিহত হলো সেটা কোনো বিষয় নয়, পুতিনের কত ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, কত পারমাণবিক বোমা রয়েছে সেটাও কোনো বিষয় নয়; কারণ, আমরা স্বাধীন ইউক্রেনের জনগণ।’
পশ্চিমাদের উদ্দেশে পোরোশেঙ্কো বলেন, ‘এটা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, আমরা যেন বুঝি আপনারা আমাদের সঙ্গেই আছেন। আমরা একা নই।’৫৬ বছর বয়সী পেত্রো পোরোশেঙ্কো ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।