সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » ভারত ও বাংলাদেশ পানি বণ্টন চুক্তির লক্ষ্যে কাজ করছে- পররাষ্ট্রসচিব
ভারত ও বাংলাদেশ পানি বণ্টন চুক্তির লক্ষ্যে কাজ করছে- পররাষ্ট্রসচিব
বিবিসি২৪নিউজ,অমিত ঘোষ, দিল্লি থেকেঃ ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, গঙ্গা নদীর পর এবার অন্যান্য নদীর পানি বণ্টনে ভারত ও বাংলাদেশ চুক্তি চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। আজ সোমবার ভারতের সিমলায় এনজিও ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত ১০তম ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সংলাপে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সাথে আলাপকালে শ্রিংলা এ কথা বলেন।অনুষ্ঠানে শ্রিংলা বলেন, ‘ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে ৫৪টি অভিন্ন নদী; যা আসলে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পদ ও দায়দায়িত্বের অংশ। গঙ্গার পানি বণ্টনের ঐতিহাসিক চুক্তি সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। এখন আমরা নদীতে বাঁধ নির্মাণ ও লবণাক্ততা সমস্যা মোকাবেলায় যা যা করা উচিত সেগুলো রেখে চুক্তি চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছি।’
তিনি অবশ্য তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তির প্রসঙ্গ তোলেননি বলে জানা যায়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতার ফলে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এ চুক্তি সই ঝুলে আছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশেই অনুভূত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন শ্রিংলা। এ ছাড়া পানি সংরক্ষণ, মৎস্য, বন্যা ব্যবস্থাপনা এবং নদীদূষণ মোকাবেলায় ব্যাপক সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিব ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন ও সমুন্নত রাখার ওপরও গুরুত্ব দেন। এর কারণ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, উগ্রপন্থী এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তাদের নিজেদের স্বার্থ হাসিলে আমাদের অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। শ্রিংলা বলেন, দুই দেশের জনগণের মধ্যে আন্তরিকতাপূর্ণ সম্পর্কই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের চাবিকাঠি।মানুষের সহজ ট্রানজিট নিশ্চিত করার পাশাপাশি সীমান্তে অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধে তিনি সীমান্ত অবকাঠামোকে শক্তিশালী করা এবং আরো সীমান্ত হাট চালুর ওপর জোর দেন।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের কথা উল্লেখ করে শ্রিংলা বলেন, প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে রপ্তানির কোয়ান্টাম উল্লম্ফন হয়েছে এই বছর তা দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে তিনি প্রস্তাবিত দ্বিপাক্ষিক ‘কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক কোঅপারেশন’ চুক্তিটি দ্রুত সাক্ষর করার ওপর জোর দেনবাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতা, ভারতের সাবেক হাইকমিশনার, কূটনীতিক, শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা রয়েছেন।