বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | ইউরোপ | শিরোনাম | সাবলিড » ইউক্রেন সীমান্ত থেকে কিছু রুশ সৈন্য ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, পুতিন কি পিছু হটছেন?
ইউক্রেন সীমান্ত থেকে কিছু রুশ সৈন্য ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, পুতিন কি পিছু হটছেন?
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখের বেশি রুশ সৈন্য মোতায়েন নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে টানটান উত্তেজনার পর রাশিয়া বলেছে কিছু সৈন্য তাদের ঘাঁটিতে ফিরে আসছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র আজ (মঙ্গলবার) এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন ইউক্রেন সীমান্তের কাছে মহড়া শেষ করে কিছু সৈন্য তাদের ঘাঁটিতে ফিরে যাচ্ছে।
রুশ প্রতিরক্ষা দপ্তরের প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখানো হয়েছে রেলওয়ের খোলা ওয়াগনে কিছু ট্যাংক এবং সাঁজোয়া গাড়ি তোলা হচ্ছে।
রাশিয়ার কাছ থেকে সৈন্য ফিরিয়ে আনার ঘোষণা এমন দিন এলো যেদিন যুদ্ধ এড়াতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ সোলৎজ কিয়েভে এক সফর শেষ করে মস্কো গেছেন।
রাশিয়ার এই পদক্ষেপ ইউক্রেন নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের সাথে মস্কোর সম্পর্কে সৃষ্ট উত্তেজনা কমাতে সাহায্যে করবে বলে আশাবাদ তৈরি হয়েছে।ইউক্রেন সীমান্ত থেকে রাশিয়ার সৈন্য ফিরিয়ে নেবার খবরে শেয়ারবাজারগুলোতে তাৎক্ষণিকভাবে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টরস্ খবর দিচ্ছে বেশ ক’সপ্তাহ ধরে তলানিতে পড়ে থাকার পর রাশিয়ার বিভিন্ন শেয়ার এবং রুশ মুদ্রা রুবলের বিনিময় মূল্য হঠাৎ করে আজ অনেকটা বেড়ে গেছে। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের সরকারি বন্ডের দামও অনেকটা বেড়েছে।
তবে ইউক্রেন রাশিয়ার তৎপরতা নিয়ে এখনো সন্দিহান। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন রাশিয়া সত্যিই সৈন্য সরাচ্ছে তা চোখে দেখার পর তারা বলতে পারবেন উত্তেজনা কমবে কি না।
“রুশ ফেডারেশনের কাছ থেকে আমরা নানা সময় নানা বিবৃতি শুনছি। সুতরাং আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা যা চোখে দেখবো শুধু সেটাই বিশ্বাস করবো,” মি. কুলেবাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা ইউক্রেন ইন্টারফ্যাক্স।ইউক্রেনের মত নেটো দেশগুলোও রাশিয়ার এই পদক্ষেপ নিয়ে সন্দিহান।
ব্রাসেলস থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জেসিকা পার্কার বলছেন নেটো দেশগুলোর কর্মকর্তা এবং কুটনীতিকরা বুঝতে চাইছেন রাশিয়া কি সত্যিই উত্তেজনা কমানোর উদ্যোগ নিচ্ছে না কি এটা মস্কোর অন্য একটি কৌশল।
জন হপকিন্স স্কুল অব অ্যাডভান্সড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অধ্যাপক সের্গেই রাদচেঙ্কো বিবিসিকে বলেছেন রাশিয়া সবসময়ই বলেছে তারা কাউকেই হুমকি দিচ্ছে না এবং তাদের সৈন্যরা শুধু মহড়ায় অংশ নিচ্ছে।
অধ্যাপক রাদচেঙ্কো মনে করেন, এটি প্রেসিডেন্ট পুতিনের নতুন এক কৌশল।
তিনি এই কৌশলকে “এক হাড়ি ঘন সুপ রান্নার” সাথে তুলনা করেন যেখানে পুতিন “উত্তেজনা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সময় এবং সুবিধা-মত চুলার জ্বাল কখনো কমাবেন আবার কখনো বাড়াবেন।”