বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে একবছরে ৪৪১টি মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩১৩টি মরদেহ ছিল আত্মহত্যার। চিকিৎসাকরা জানিয়েছেন, হত্যা, আত্মহত্যা, দুর্ঘটনার মতো যেকোনো অপমৃত্যু বা অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্ত করা হয়ে থাকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৪১টি মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে বিষপানে আত্মহত্যার ১৫৮টি, ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা ১৫৫টি, বিভিন্ন ভাবে হত্যাকাণ্ডের ৫১টি, অজ্ঞাত ৪৯টি, সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫টি, স্ট্রোকে মৃত্যুতে সন্দেহ ৬টি, পানিতে ডুবে ৬টি ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজনের মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগ না থাকায় কর্তৃপক্ষ ময়নাতদন্তের জন্য ৫ জন চিকিৎসককে নিয়োজিত রেখেছে। তিনি আরও জানান, মর্গে প্রয়োজনীয় সকল সুবিধা আছে। তবে মর্গের পাশে একটি শৌচাগার করে দিলে সুবিধা হতো।এ বিষয়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ওয়াহীদুজ্জামান জানান, আসলে ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা ময়নাতদন্ত করে থাকেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কোনো মেডিকেল কলেজ নেই। ফরেনসিক বিভাগ না থাকায় আমাদের চিকিৎসকরা এই দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কিন্তু তারা একজনও এই কাজের জন্যে সার্টিফাইড নন। এনিয়ে আমাদের চিকিৎসকদের বেগ পেতে হচ্ছে। যখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হবে, তখন সেখানে ফরেনসিক বিভাগে এই ময়নাতদন্তগুলো করা হবে।