শনিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » আমেরিকা | আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » রাশিয়ার যে কোন সময় ইউক্রেন আক্রমণের ‘স্পষ্ট সম্ভাবনা’ রয়েছে : বাইডেন
রাশিয়ার যে কোন সময় ইউক্রেন আক্রমণের ‘স্পষ্ট সম্ভাবনা’ রয়েছে : বাইডেন
বিবিসি২৪নিউজ,ফরিদা ইয়াসমিন, ওয়াশিংটন থেকেঃ আগামী মাসে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ করার ‘স্পষ্ট সম্ভাবনা’ রয়েছে বলেবৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদ্যমির জেলেন্সকিকে সতর্ক করেছেন।হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার রাশিয়া জানায়, আমেরিকা রাশিয়ার দাবিগুলো প্রত্যাখ্যান করার পর পূর্ব ইউরোপের উত্তেজনা শিথিল হবার “আশাবাদের কারণ তেমন একটা নেই”।দাবিগুলো হলো, ইউক্রেনকে নেটোর সদস্যপদ থেকে বিরত রাখা এবং রাশিয়ার সীমান্তবর্তী দেশগুলি থেকে পশ্চিমাদের মোতায়েন করা সেনা ও অস্ত্র প্রত্যাহার করা।
বৃহস্পতিবার বাইডেন ক্রমবর্ধমান এই উত্তেজনায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সমর্থনের ব্যাপারে আশ্বস্ত করার জন্য প্রেসিডেন্ট জেলেন্সকির সাথে কথা বলেছেন।পরে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট টুইট করেন যে, তিনি ও বাইডেন ইউক্রেনের জন্য বাড়তি আর্থিক সহায়তার বিষয়েও কথা বলেছেন।
ইউক্রেন, রাশিয়া, ফ্রান্স এবং জার্মানির কর্মকর্তারা বুধবার প্যারিসে আলোচনায় বসেন এবং ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে বার্লিনে আরেক দফা আলোচনায় বসতে সম্মত হন। ক্রেমলিন দূত দ্যমিত্রি কোজাক জানান, সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলি পূর্ব ইউক্রেনে একটি আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে।
ইউক্রেন বিষয়ে সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস-গ্রীনফিল্ড বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানান, “ইউক্রেনের সীমান্তে ১,০০০০০০ এরও বেশি রাশিয়ান সেনা মোতায়েন করা হয়েছে এবং রাশিয়া ইউক্রেনকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্য অন্যান্য কর্মকাণ্ডে জড়িত হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা এবং জাতিসংঘের সনদের জন্য একটি স্পষ্ট হুমকিস্বরূপ।ঘটনা কোনদিকে গড়ায় তার জন্য প্রতীক্ষা করার সময় এটি নয়। নিরাপত্তা পরিষদের পূর্ণ মনোযোগ এখন প্রয়োজন, এবং আমরা সোমবার সরাসরি এবং অর্থপূর্ণ আলোচনার জন্য উন্মুখ।”
নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের মধ্যে রাশিয়া অন্যতম এবং যেকোনো প্রস্তাবে রাশিয়ার ভেটো দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
এএফপি’র মতে, টমাস-গ্রীনফিল্ড বলেছেন, বৈঠকটির লক্ষ্য হচ্ছে রাশিয়ার কর্মকাণ্ড উন্মোচন করা এবং ইউক্রেন সম্পর্কে তার আগ্রাসী ভঙ্গির জন্য ক্রেমলিনকে বিচ্ছিন্ন করা।
যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ইউরোপীয় মিত্ররা ইউক্রেনে রাশিয়ার সম্ভাব্য আক্রমণের আশঙ্কা থেকে ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার ১লাখেরও বেশি সেনা সমাবেশের প্রতিবাদ আব্যাহত রেখেছে যদিও মস্কো বলেছে যে ইউক্রেন আক্রমণের কোন ইচ্ছা তাদের নেই।
এদিকে ইউক্রেনে আমেরিকান সৈন্য পাঠানোর বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে বাইডেন রাশিয়াকে বারবার সতর্ক করেছেন যে, রাশিয়া যদি সীমান্ত অতিক্রম করে এবং ইউক্রেনে আক্রমণ করে তবে পশ্চিমারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।