শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১

BBC24 News
সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশে চালকদের ডোপ টেস্টের উদ্যোগ নিয়েছে বিআরটিএ
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশে চালকদের ডোপ টেস্টের উদ্যোগ নিয়েছে বিআরটিএ
৪৮৭ বার পঠিত
সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাংলাদেশে চালকদের ডোপ টেস্টের উদ্যোগ নিয়েছে বিআরটিএ

---বিবিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতিবেদক ঢাকাঃ বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান নয়টি কারণের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বেপরোয়া ড্রাইভিং৷ বেপরোয়া ড্রাইভিং-এর জন্য প্রধানত মাদকাসক্তিকে দায়ী করা হয়৷ আর সে কারণেই চালকদের ডোপ টেস্টের উদ্যোগ নিয়েছে বিআরটিএ৷
কিন্তু এই উদ্যোগ এখন পর্যন্ত সরকারি আদেশেই সীমাবদ্ধ রয়েছে৷ ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এখনো চালকেরা বিষয়টি জানেনই না৷

বিআরটিএর আদেশে বলা হয়েছে ৩০ জানুয়ারি থেকে পেশাদার মোটরযান চালকদের নতুন লাইসেন্স গ্রহণ এবং নবায়নের জন্য ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ লাইসেন্স পেতে হলে ডোপ টেস্টের নেগেটিভ সনদ দাখিল করতে হবে৷ অন্যথায় নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া হবে না বা নবায়ন করা হবে না৷ বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার জানিয়েছেন, ‘‘এখন যারা পেশাদার চালক রয়েছেন তাদেরও পর্যায়ক্রমে ডোপ টেস্টের আওতায় আনা হবে৷’’

ঢাকায় এই ডোপ টেস্টের জন্য ছয়টি হাসপাতাল নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে৷ এছাড়া সারাদেশে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অনুমোদিত কোনো ল্যাব বা প্রতিষ্ঠান থেকেও ডোপ টেস্ট করা যাবে৷ ঢাকার হাসপতালগুলো হলো: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন এন্ড রেফারেন্স সেন্টার, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় বক্ষব্যধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় আর্থোপেডিক হাসপাতাল এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল৷

এই ডোপ টেস্টের কারণে পেশাদার চালকদের লাইসেন্স পেতে বা নবায়ন করতে অতিরিক্ত ৯০০ টাকা লাগবে৷পরিবহন শ্রমিক নেতাদের সাথে কথা বলে জানাগেছে দেশে কমপক্ষে ২০ লাখ পেশাদার চালক আছেন৷ আর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে চালকদের ৮৯ ভাগেরই মাদকের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে৷ তাদেরমধ্যে মাদকসেবী যেমন আছেন, কেউ কেউ মাদক ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত আছেন৷ চালকেরা তা স্বীকারও করেন৷ তাদের কথা, পরিবেশ ও পরিস্থিতির কারণে চালক ও শ্রমিকেরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন৷ পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকাই প্রধান কারণ৷ তারা দেশে তৈরি অ্যালকহল ছাড়াও তারা গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিলে আসক্ত বেশি৷

বাস চালক বাবর আলি বাবু জানান, ‘‘পরিবহণ শ্রমিক ও মালিক সমিতি থেকে বলা হয়েছে মাদকসক্তদের সমিতির পরিচয়পত্র দেয়া হবে না৷ কিন্তু এজন্য যে ডোপ টেস্ট করা হবে সেটা আমরা জানি না৷ কোথায় ডোপ টেস্ট করা যাবে তাও জানি না৷’’

তিনি বলে, ‘‘চালক এবং শ্রমিকদের মধ্যে অনেক মাদকাসক্ত আছেন৷ তারা সঙ্গদোষে মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন৷ টেস্ট করা হলে এই প্রবণতা কমবে৷’’বাংলাদেশ পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ খোকন বলেন, ‘‘ডোপ টেস্টের আগে ব্যাপক প্রচার দরকার৷ চালকদের মধ্যে সচেতনা গড়ে তুলতে হবে আগে৷ তা না হলে এটা কার্যকর করা কঠিন হয়ে পড়বে৷ কিন্তু এখনো এই বিষয়ে কোনো প্রচার নেই৷ প্রচার ও প্রস্তুতি না নিয়ে যদি এটা হলে চালকেরা বিকল্প পথে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার চেষ্টা করবেন৷ ভুয়া লাইসেন্স বেড়ে যেতে পারে ৷ আর এতে একটি অসাধু চক্র লাভবান হতে পারে৷ ফলে একটি ভালো উদ্যোগ ব্যর্থ হতে পারে৷’’

পরিবহন মালিকরাও এই ডোপ টেস্টের পক্ষে৷ করোনা শুরু হওয়ার আগে তারা নিজেরাই চালক এবং পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে মাদক বিরোধী প্রচার শুরু করেছিলেন৷ কিন্তু করোনা শুরু হওয়ার পর তাদের সেই উদ্যোগে ভাটা পড়ে৷ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতুল্ল্যাহ বলেন, ‘‘করোনার কারণে আমরা তখন শুরু করতে পারিনি৷ এখন বিআরটিএ একটি আদেশ দিয়েছে ৩০ জানুয়ারি থেকে ডোপ টেস্ট শুরু হবে৷ কিন্তু এটা নিয়ে কোনো প্রচার নাই৷ এখন পরিবহন শ্রমিকদের করোনার টিকা দেয়া হচ্ছে৷ টিকার কারণেই হয়তো ডোপ টেস্ট নিয়ে তেমন কথা হচ্ছে না৷’’

ডোপ টেস্টের জন্য নির্ধারিত হাসপাতালের একটি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘‘আমাদের হাসপাতালে ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা আছে৷ সরকারি নির্দেশনা মত চালকেরা এলে আমরা ডোপ টেস্ট করব৷ তবে আমাদের সক্ষমতা বেশি নয়৷ আমরা স্বল্প পরিসরে করি৷ লোকবলের অভাব আছে৷ আমরা সীমিত টেস্ট করতে পারব৷’’

সরকারের একটি নির্দেশনা আছে যে দেশের সব সরকারি হাসপাতালে ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা চালু করতে হবে৷ সেটা করা হলে এই কাজটি অনেক সহজ হবে৷’’

বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ‘‘এটা এখন থেকে আইন৷ ৩০ জানুয়ারি থেকে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে এবং নবায়ন করতে ডোপ টেস্ট লাগবেই৷ ডোপ টেস্টে মাদকাসক্ত প্রমাণ হলে লাইসেন্স পাওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না৷ নির্ধারিত হাসপাতাল ছাড়াও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অনুমোদিত ল্যাবেও ডোপ টেস্ট করা যাবে৷ ফলে কোনো সমস্যা হবে না৷’’

তিনি বলেন, ‘‘ল্যাব টেস্টের বাইরেও কিট টেস্ট আছে৷ তার মাধ্যমে এখন যাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে তাদের আমরা টেস্ট করব৷ এটা হবে অভিযানের মত৷ আর আমরা পুরো ডোপ টেস্টের জন্য ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটরি করার কথা ভাবছি৷’’

জালিয়াতি ঠেকাতে ডোপ টেস্টের এক কপি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনলাইনে বিআরটিএকে পাঠাবে, আর এক কপি চালককে দেয়া হবে বলে জানান তিনি৷



আর্কাইভ

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
পারমাণবিক আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া!
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ
ইলন মাস্কের রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে হাজির ট্রাম্প
লেবাননে নিহত দুই শতাধিক শিশু: ইউনিসেফ
মার্তিনেজের ধাঁধানো গোলে জিতল আর্জেন্টিনা
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিধি বাড়ালেন পুতিন
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল হয়নি: হাসনাত
যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন সামরিক গোয়েন্দা তথ্য চুক্তি স্বাক্ষর