রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | ইউরোপ | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » ‘মুসলমান হওয়ার কারণে নুসরাত গনিকে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেয়া হয়’
‘মুসলমান হওয়ার কারণে নুসরাত গনিকে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেয়া হয়’
বিবিসি২৪নিউজ, রুপা শামীমা লন্ডন থেকেঃ ব্রিটেনের একজন আইনপ্রণেতা জানিয়েছেন, মুসলিম ধর্ম-বিশ্বাসের কারণেই তাকে মন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, তার এ ধর্ম বিশ্বাসের কারণে ব্রিটিশ সংসদের রক্ষণশীল সদস্যরা অস্বস্তি বোধ করতেন।
ব্রিটেনের ‘সানডে টাইমস’ গতকাল এই খবর দিয়েছে। পত্রিকাটি জানিয়েছে, ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার প্রথম মুসলিম নারী সদস্য নুসরাত গনিকে ২০২০ সালে মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন করার সময় প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের রক্ষণশীল সরকার বাদ দিয়ে দেয়।
নুসরাত গনি পত্রিকাটিকে জানিয়েছেন, ব্রিটিশ সংসদের একজন হুইপ তাকে জানিয়েছিলেন, ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বৈঠকে তার মুসলমানিত্ব একটি ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট ব্রিটিশ সরকারের সদর দপ্তর হিসেবে কাজ করে।
তিনি বলেন, “ভনিতা ছাড়াই বলব যে. দলের প্রতি আমার বিশ্বাস নড়বড়ে হয়ে গেছে এবং মাঝে মাঝে আমি ভেবেছি যে, সংসদ সদস্য হিসেবে আমি আর দায়িত্ব পালন করব কিনা।”
বরিস জনসন
নুসরাত গনি আরো বলেন, “দলের ভেতরে এমন উদ্বেগও ছিল যে, আমি দলের প্রতি পরিপূর্ণভাবে অনুগত কিনা। ইসলামভীতি ইস্যুতে আমার দল যে অবস্থান নেয় তার পক্ষে সাফাই গাওয়ার জন্য আমি যথেষ্ট কাজ করি না- এমন অভিযোগ থেকে দলের সদস্যদের মধ্যে ওই উদ্বেগ দেখা দেয়। এসব বক্তব্যে আমি খুবই অপমান ও অসহায়ত্ব বোধ করেছি। আমার মনে হয়েছে তারা যেন আমাকে পেটে ঘুষি মেরেছে।”
ব্রিটেনের রক্ষণশীলদের বিরুদ্ধে আরো আগে থেকেই ইসলামভীতি ও মুসলিম বিদ্বেষ ছড়ানোর ব্যাপারে অভিযোগ রয়েছে। ব্রিটেনের একটি পত্রিকার এক নিবন্ধে প্রধানমন্ত্রী জনসন বোরকা পরা নারীদেরকে ‘চিঠির বাক্স’র সাথে তুলনা করেছিলেন। অবশ্য পরে তিনি তাঁর এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চান।
এছাড়া, ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক গার্ডিয়ান পত্রিকায় রক্ষণশীল দলের ১৫ জন বর্তমান এবং সাবেক ১০ জন কাউন্সিলর কনজারভেটিভ পার্টির সদর দপ্তরে একটি বার্তা পাঠান যাতে ব্রিটেনের মসজিদগুলো বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়। ওই বার্তায় তারা আরো বলেছিলেন, মসজিদগুলো লোকজনকে মুসলমান বানানোর কাজ শুরু করেছে এবং ইসলাম ধর্মের অনুসারীদেরকে বর্বর বলে উল্লেখ করেছিলেন।
ব্রিটিশ সংসদের হাউস অব লর্ডসের রক্ষণশীল মুসলিম সদস্য সাইদা ওয়ার্সিও বিভিন্ন সময় বাজে মন্তব্যের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।