মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | প্রিয়দেশ | লাইফস্টাইল | শিরোনাম | সাবলিড » ৯০ বছরের ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে ৩৯ বছরের কনের বিয়ের পিঁড়িতে, ফেসবুকে ভাইরাল
৯০ বছরের ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে ৩৯ বছরের কনের বিয়ের পিঁড়িতে, ফেসবুকে ভাইরাল
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির পাঁচ বারের সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন ৯০ বছর বয়সে ৩৯ বছরের কনের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। বিয়ের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের ছবি ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা। বিবাহিতদের সুখময় দাম্পত্য জীবন কামনা করে দোয়া ও অভিনন্দন জানাচ্ছেন আইনজীবীর সহকর্মীসহ সুহৃদজনরা। এছাড়া ইতিবাচক মন্তব্যে নবদম্পতিকে দোয়া ও শুভ কামনা জানাচ্ছেন নেটিজেনরা।
সোমবার দুপুরে পাঁচ লাখ টাকা কাবিনে এ বিয়ে হয়। কনে মিনুয়ারা আক্তারের বাড়ি কুমিল্লা নগরীর দেশওয়ালীপট্টি এলাকায়। বিয়ের অনুষ্ঠানে উভয় পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীর সহকর্মীরা ছিলেন। নববধূকে নিয়ে সন্ধ্যায় প্রাইভেটকারে তিনি আদালতপাড়ার নিজ বাড়িতে পৌঁছান।
আইনজীবী মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন জানান, ঘটকের মাধ্যমে কনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। উভয়ের সম্পতিতে এ বিয়ে হয়। তিনি বলেন, তার স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি একা হয়ে পড়েছেন। ছেলে-মেয়েরা যে যার সংসার নিয়ে ব্যস্ত। এতে বৃদ্ধ বয়সে দেখভাল করা ও স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে তার ছেলে-মেয়েরা ভাবলেন তাদের বাবার একজন সঙ্গী প্রয়োজন। তাদের ইচ্ছায় তাকে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছে।
দু’জনেই সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য অতিথিসহ সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
তিনি বলেন, এ বিয়েতে আমি খুশি। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন। কনে মিনুয়ারা আক্তারও সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য অতিথিসহ সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
ইসমাইল হোসেনের বড় ছেলে আইনজীবী ইসহাক সিদ্দিকি বলেন, ৭ বছর আগে আমার মা মাহমুদা বেগম মারা যান। এতে বাবা একাকী থেকে হতাশ হয়ে পড়েন। আমরা চিন্তা করলাম বাবাকে দেখার জন্য একজন সঙ্গীর প্রয়োজন। তাই আমরা ভাই-বোন মিলে সম্মতি দিয়ে বাবাকে বিয়ে করিয়েছি।
বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যাওয়া কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম বলেন, ৫০ থেকে ৬০ জন বরযাত্রী হয়ে গিয়ে বউ এনেছি। আমরা সবাই খুশি।
আরেক অতিথি অ্যাডভোকেট খালেদা আক্তার মিনু বলেন, তাদের কাবিন হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা। তার মধ্যে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা উসুল দেওয়া হয়েছে।