বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিক্ষাঙ্গন | শিরোনাম » বাংলাদেশে যে কারণে পাসের হার বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশের বেশি
বাংলাদেশে যে কারণে পাসের হার বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশের বেশি
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকাঃ বাংলাদেশে নতুন ব্যবস্থায় নেয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশের বেশি।বৃহস্পতিবার ২০২১ সালের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে।
এতে দেখা যাচ্ছে, সারা দেশে এসএসসি এবং দাখিল মিলে ১১টি বোর্ডের সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
মাদ্রাসা বোর্ডেও পাসের হার বেড়েছে।সারাদেশে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন শিক্ষার্থী।
এ বছর শুধু এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৯৪ দশমিক শূন্য আট শতাংশ।মহামারির কারণে ২০২০ সালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অটোপাস দেয়া হয়েছিল, এর মানে হচ্ছে পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করা সব শিক্ষার্থী পরীক্ষা না দিয়েই পাস করেছিলেন।
এর আগে ২০১৯ সালে সারাদেশে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ।তার আগের বছর একই পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দেড় বছর শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর এ বছরের ১৪ই নভেম্বর এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা শুরু হয়।
যে কারণে পাসের হার বেড়েছে
পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, কারিগরি বাদে প্রায় প্রতিটি বোর্ডেই এবার ৯০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী পাস করেছে।
পাসের হার বেশি হওয়ার কারণ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, “পাসের হার বৃদ্ধি পাবার একটা কারণ হতে পারে, এ বছর আমরা তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষা নিয়েছি, সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হয়েছে এবং প্রশ্নপত্রে বিকল্প অনেক বেশি ছিল।”
“হয়ত এসব কারণে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় ভালো করেছে।”
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনেকদিন বন্ধ থাকায় ক্লাস-পরীক্ষা আর মূল্যায়নের যে বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে, সব জায়গায় সব শিক্ষার্থী সে সুযোগ সমানভাবে পায়নি।
তার মধ্যেও পাসের এই হার খুবই আনন্দের বলে মন্তব্য করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলছেন, আবশ্যিক বিষয় ইংরেজি পরীক্ষা না থাকা পাসের হার বৃদ্ধির পেছনে একটা কারণ। তিনি বলেছেন, “দেশে প্রতিবছর ইংরেজি বিষয়ে ফেল করে বহু শিক্ষার্থী, এবার সে পরীক্ষা তাদের দিতে হয়নি, এটা একটা বড় কারণ বলে আমার মনে হয়।”এছাড়া পরীক্ষা ১০০ নম্বরের হলেও উত্তর দেবার ক্ষেত্রে চাপ কম ছিল।
প্রতি বছর যেখানে আটটি প্রশ্ন থেকে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়, এবার ওই একই আটটি প্রশ্নের মধ্যে দুইটি উত্তর লিখতে হয়েছে—মোটা দাগে এগুলোই কারণ পাসের হার বৃদ্ধির,” বলেন তিনি।
এ বছরের এসএসসি পরীক্ষা ছিল মহামারির মধ্যে প্রথম কোন পাবলিক পরীক্ষা।এতে অংশ নিয়েছিলেন ২২ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী।
মহামারির স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি মাথায় রেখে পরীক্ষার সময় কমিয়ে আনা হয় দেড় ঘণ্টায়।
বাংলা, ইংরেজির মত আবশ্যিক বিষয়গুলোতে পরীক্ষা না নিয়ে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে কেবল তিনটি ঐচ্ছিক বিষয়ে আগের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়।
পাসের হারে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ময়মনসিংহ বিভাগ, এ বোর্ডে ৯৭ দশমিক ৫২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন।
সবচেয়ে কম বরিশাল বিভাগে ৯০ দশমিক ১৯ শতাংশ।
দেশের ১৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সব শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে।