সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » আমেরিকা | পরিবেশ ও জলবায়ু | লাইফস্টাইল | শিরোনাম | সাবলিড » যুক্তরাষ্ট্রে আফগানদের নতুন শহর
যুক্তরাষ্ট্রে আফগানদের নতুন শহর
বিবিসি২৪নিউজ,খান শওকত, যুক্তরাষ্ট্র থেকেঃ অভিবাসীদের শহর ১৯৮০-র দশকে কম্বোডিয়ার অভিবাসনপ্রত্যাশীরা প্রথম এসেছিলেন এই শহরে৷ তারপর ইরাক, মিয়ানমার, রুয়ান্ডা, কঙ্গোসহ বিশ্বের নানা দেশের মানুষ আসায় বোলিং গ্রিন অনেকের কাছেই হয়ে গেছে অভিবাসীর শহর৷ শহরের মোট বাসিন্দার সংখ্যা ৭২ হাজার৷ ৭৫ হাজার আফগানের ঠিকানা হবে যুক্তরাষ্ট্র
তালেবান আফগানিস্তানের দখল নেয়ার পর অনেক আফগানই দেশ ছেড়েছেন৷ তাদের মধ্যে ৭৫ হাজার জনকে ধীরে ধীরে আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র৷ ২০২২ সালে বোলিং গ্রিনে আসবেন মোট ৩৫০ জন আফগান৷
ওয়াজির খান জাদরান ২০ বছর আগে হাক্কানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন৷ তাই তার জন্য তালেবানের আফগানিস্তানে বেঁচে থাকা ছিল প্রায় অসম্ভব৷ তালেবান তাকে হত্যা করবে- এই আশঙ্কায় তাই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে চলে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রে৷প্রথমে চিনুক হেলিকপ্টারে রাজধানী কাবুলে, তারপর বিমানে নিউ মেক্সিকো সিটির সামরিক ঘাঁটি হয়ে এসেছেন এই বোলিং গ্রিনে৷ এ শহরে সপরিবারে শুরু করেছেন নতুন এক জগতে বেঁচে থাকার লড়াই৷
গত আগস্টে দেশ ছেড়েছেন ওয়াজির খান জাদরান৷ সেই হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে চার মাসও হয়নি৷ কিন্তু এরই মাঝে বোলিং গ্রিন বেশ আপন হয়ে গেছে তার কাছে৷ রয়টার্সকে তাই বলছিলেন, ‘‘বোলিং গ্রিনে আমরা খুব ভালো আছি৷’’ তার ছয় সন্তান এখন ইংরেজি শিখছে, লাইব্রেরিতে যাচ্ছে বই পড়তে, মাঝে মাঝে আইসক্রিম খেতে যাচ্ছে ব্যাসকিন-রবিন্সে৷
অনেক ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে বোলিং গ্রিনে৷ এ শহর এখন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্যের অন্যতম উৎপাদন ক্ষেত্র৷ বেশ কিছু শিল্প-কারখানাও গড়ে উঠেছে এখানে৷ বোলিং গ্রিনে এখন প্রায় ১০ হাজার বসনীয়ের বাস৷ তাদের অনেকেই ছোট-বড় কারখানার মালিক৷
সাংস্কৃতিক বন্ধন
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে হলে ইংরেজি শেখা খুব জরুরি৷ এছাড়া বিভিন্ন দেশ, ভাষা এবং ধর্মের মানুষের সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা থাকাটাও দরকার৷ ওয়াজির খান জাদরানের সন্তানরাও তাই ইংরেজি শিখছে৷ ইংরেজি গানও শিখছে তারা৷
ওয়াজির খান জাদরান এখন যুক্তরাষ্ট্রের বোলিং গ্রিনে৷ তার মতো অনেক আফগানই কেন্টাকি রাজ্যের এই অভিবাসী অধ্যুষিত শহরে নতুন জীবন গড়ার লড়াইয়ে ব্যস্ত৷ ছবিঘরে বোলিং গ্রিন ও ওয়াজিরের পরিবারের জীবন…