
বৃহস্পতিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা গড়ার শপথ-প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা গড়ার শপথ-প্রধানমন্ত্রীর
বিবিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতি বেদক ঢাকাঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়তে দেশবাসীকে নিয়ে শপথবাক্য পাঠ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করারও শপথ করার প্রধানমন্ত্রী।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরজন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ প্রতিপাদ্যে দুই দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে এ শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে মুজিব বর্ষ উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি।
প্রধানমন্ত্রী শপথবাক্যে বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা। আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিব বর্ষের বিজয় দিবসে দৃপ্ত কণ্ঠে শপথ করছি যে শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। দেশকে ভালোবাসব। দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আগত অতিথি, আটটি বিভাগীয় জেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় জড়ো হওয়া ব্যক্তিরা দাঁড়িয়ে শপথবাক্য পাঠ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পাশে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা।
প্রধানমন্ত্রী শপথ পাঠ করানোর আগে তাঁর বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের শহীদ, ১৯৭৫–এ ১৫ আগস্টে নিহত ব্যক্তিদের প্রতি এবং জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। গণতন্ত্র, ভোট ও ভাতের অধিকার আদায় করতে গিয়ে যাঁরা নির্যাতিত–নিপীড়িত হয়েছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।
শপথপাঠ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মুজিব বর্ষ উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে আলোচনা পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সম্মানীয় অতিথি ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।