বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » আনন্দ-বিনোদন | শিরোনাম | সাবলিড » শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানের মাদক মামলায় জামিন
শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানের মাদক মামলায় জামিন
বিবিসি২৪নিউজ, বিনোদন ডেস্কঃ বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে একটি পার্টিতে নিষিদ্ধ মাদক সেবনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করার ২৬দিন পর আজ তার জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
মুম্বাইয়ের উপকূলে সমুদ্রে ভাসমান একটি ক্রু্জ শিপে নিষিদ্ধ মাদক নিয়ে চলা এক পার্টি থেকে ২৩-বছর বয়সী আরিয়ান খানকে গ্রেপ্তার করা হয় ২রা অক্টোবর। প্রমোদ তরীটি মুম্বাই থেকে গোয়া অভিমুখে যাচ্ছিল।
নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) “অবৈধ মাদক রাখা, সেবন করা ও বিক্রি সংক্রান্ত” আইনের আওতায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে।আরিয়ান খান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।তার আইনজীবী আদালতে বারবার বলেন যে শাহরুখপুত্র আরিয়ান খানের কাছে কোন নিষিদ্ধ মাদক পাওয়া যায়নি, এবং “তিনি কোন মাদক সেবন করেছেন তার স্বপক্ষেও কোন তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি”।
মাদক সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয় এমন একটি বিশেষ আদালত অক্টোবর মাসে দু’বার আরিয়ান খানের জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করার পর তার আইনজীবীরা মুম্বাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এই মামলায় অভিযুক্ত আরও দু’জনের জামিনের আবেদনও বিশেষ আদালত প্রত্যাখ্যান করেছে।
মুম্বাই হাইকোর্ট দু’পক্ষের পেশ করা যুক্তি দু’দিন ধরে শোনার পর আরিয়ান খানের জামিন মঞ্জুর করে।
এর আগের শুনানিতে, রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা যুক্তি দেন যে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নিষিদ্ধ মাদকের ব্যবহারকে ”গুরুত্বের দৃষ্টিতে” বিবেচনা করা উচিত। সরকার পক্ষ আরও যুক্তি দেয় যে এই মামলায় অন্য ১৭ জন অভিযুক্তের থেকে আরিয়ান খানকে আলাদা করে দেখা উচিত হবে না, তাদের অপরাধ একই এবং সে কারণে তার জামিন মঞ্জুর না করতে।
এনসিবির কর্মকর্তারা ২রা অক্টোবর ওই ক্রুজ শিপে হানা দেয়। ওই জাহাজে নিষিদ্ধ মাদক আছে গোপন সূত্রে এ খবর পেয়ে তারা সেখানে অভিযান চালায়। আরিয়ান খান ওই জাহাজে ওঠার আগে তাকে তল্লাশি করা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে এনসিবি তাকে হেফাজতে নেয়।
এর পরদিন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথমদিকে তাকে এনসিবির দপ্তরে হেফাজতে রাখা হয়েছিল, পরে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনায় নতুন মাত্রা?
ঘটনায় নতুন মাত্রা যোগ করেন একজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। তিনি অভিযোগ করেন যে এনসিবির দপ্তরে আরিয়ান খানকে এই মামলার ঘটনায় জড়িত করে ”সাদা কাগজে” সই করতে ”বাধ্য করা হয়”।
আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে এই অভিযোগ করেন প্রভাকর সাইল। তিনি বলেন তিনি কিরণ গোসাভি নামে একজন বেসরকারি তদন্তকারীর ব্যক্তিগত দেহরক্ষী। মি. সাইল আরও অভিযোগ করেন যে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে।
ক্রুশ শিপে হানা দেবার সময় মি. গোসাভি সেখানে হাজির ছিলেন এবং আরিয়ান খানকে গ্রেপ্তার করার পর আরিয়ানের সাথে একটি সেলফিতে তাকে দেয়া যায়।
এই ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে তুমুল হৈচৈ চলছে। শাহরুখ খান আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কোন বিবৃতি দেননি। তবে বলিউডের বেশ কয়েকজন ব্যক্তিত্ব আরিয়ান খানের সমর্থনে কথা বলেছেন। বিশ্লেষকরা আরিয়ান খানের গ্রেপ্তার নিয়ে তাদের ব্যাখ্যায় “মিডিয়ার বাড়াবাড়ির” সমালোচনা করেছেনআলোচনায় বলিউড ও মাদক
হিন্দি ছায়াছবির দুনিয়ায় নিষিদ্ধ মাদকের ব্যাপক ব্যবহারের দাবি নিয়ে কার্যত যেসব তদন্ত হয়েছে গত বছর থেকে তার সাথে জড়ানো হয়েছে বলিউডের বহু তারকা এবং টিভি ব্যক্তিত্বদের নাম। ২০২০ সালে নারকোটিকস দপ্তর অন্তত চারজন অভিনেত্রীকে নিষিদ্ধ মাদক বিষয়ে জেরা করেছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন দীপিকা পাডুকন।
কিন্তু এদের কারও বিরুদ্ধে আইন-বর্হিভূত কিছু করার অভিযোগ আনা হয়নি।মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা রিয়া গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করেছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি তার প্রেমিক সুশান্ত সিং রাজপুতের জন্য ড্রাগস কিনেছেন।
সুশান্ত সিং রাজপুতকে ১৪ই জুন তার ফ্ল্যাটে মৃত পাওয়া যায়। সেসময় পুলিশ বলেছিল যে ৩৪ বছর বয়সী তারকা আত্মহত্যা করেছেন।
কিন্তু এরপর ঘটনা অকস্মাতই ভিন্ন দিকে মোড় নেয়, যখন মি. সিং-এর পরিবার অভিযোগ করে যে রিয়া চক্রবর্তী তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছিলেন। এ নিয়ে মাসের পর মাস সংবাদ মাধ্যম মুখর ছিল নানা জল্পনা কল্পনায়।
মিস চক্রবর্তী এ অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং গ্রেপ্তার হবার এক মাস পর তিনি জেল থেকে ছাড়া পান।