রবিবার, ৩ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » পাকিস্তানী জঙ্গিদলগুলোকে ঠাণ্ডা করতে চাই- ইমরান খান
পাকিস্তানী জঙ্গিদলগুলোকে ঠাণ্ডা করতে চাই- ইমরান খান
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা দখলের সফল প্রচেষ্টায় উদ্দীপ্ত পাকিস্তানের নিষিদ্ধ সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর ওপর হামলা চালাচ্ছে।
এদের শান্ত করতে আফগানিস্তানে এই সংগঠনের সাথে পাকিস্তান সরকার আলোচনা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
তুরস্কের টেলিভিশন চ্যানেল টিআরটি-র সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের ভেতরে টিটিপির সাথে এই আলোচনা চলছে, এবং আফগান তালেবান এতে মধ্যস্থতা করছে।
তবে কোন সামরিক পথে তারা বিষয়টি মীমাংসা করতে চান না বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।আফগানিস্তানের মতোই টিটিপি পাকিস্তানে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
সংগঠনটি আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী পাকিস্তানী ভূখণ্ডে তৎপর এবং বিশেষভাবে সাউথ ওয়াজিরিস্তানের উপজাতীয় এলাকাগুলো থেকে তারা পাকিস্তানী নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর সম্প্রতি বেশ কয়েকটি আক্রমণ চালিয়েছে।
সাক্ষাৎকারে ইমরান খান বলেছেন, টিটিপি যদি আত্মসমর্পণ করে তাহলে পাকিস্তান সরকার তাদের অতীতের অপরাধগুলো ক্ষমা করে দিতে প্রস্তুত।
তবে শান্তি আলোচনা কোন দিকে গড়াতে পারে তা নিয়ে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন।
কিন্তু টিটিপি পাকিস্তান সরকারের ক্ষমা ঘোষণার প্রস্তাবকে নাকচ করে দিয়েছে। এবং আলোচনার জন্য তারা কিছু শর্ত আরোপ করেছে।ওদিকে পাকিস্তানে প্রভাবশালী দৈনিক ডন খবর দিয়েছে যে সীমান্তবর্তী সাউথ ওয়াজিরিস্তানের এক উপজাতীয় জেলায় টিটিপির সাথে সরকারের গোপন যোগাযোগ শুরু হয়েছে সপ্তাহ দুয়েক আগে।
বিভিন্ন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ডন’র খবরে বলা হয়েছে, জামায়াত উলেমা ই-ইসলাম (ফজল)-এর সেনেটার সালি শাহ্ দু’পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ রাখছেন।
টিটিপি মূলত পাঠান মাদ্রসা ছাত্রদের বিভিন্ন সংগঠনের একটি জোট। ২০০৭ সালে বাইতুল্লাহ্ মেহ্সুদের নেতৃত্বে ১৩টি সংগঠন মিলে টিটিপি গঠিত হয়।
জোট গঠনের পর থেকেই টিটিপির মধ্যে দলীয় কোন্দল শুরু হয় এবং এর জেরে বেশ কয়েকটি উপদল তৈরি হয়। তবে ২০২০ সালে টিটিপি আবার এক হয়।এরপর থেকে সংগঠনটি পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি মারাত্মক হামলা চালিয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে, ২০১৬ সালে কোয়েটার সিভিল হাসপাতালে বোমা আক্রমণ, যেখানে ৭০ ব্যক্তি নিহত হয়।
টিটিপি ২০১৭ সালে লাহোর শহরে পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলির বাইরে একটি আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায় যাতে প্রাণ হারান ১০ জন।
কিন্তু টিটিপির বিরুদ্ধে পাকিস্তানী নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান শুরু হলে বহু সদস্য প্রাণ হারায়। এদের মধ্যে কিছু সীমান্ত অতিক্রম করে আফগানিস্তানে পালিয়ে যায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী টিটিপির সদস্য সংখ্যা ৩০০০ থেকে ৪০০০।