বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » আওয়ামী লীগ নামধারীরা উড়ে এসে জুড়ে বসে ক্ষমতাকে ভোগের জায়গা বানায়: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ নামধারীরা উড়ে এসে জুড়ে বসে ক্ষমতাকে ভোগের জায়গা বানায়: প্রধানমন্ত্রী
বিবিসি২৪নিউজ, বিশেষ প্রতিবেদক, ঢাকাঃ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন হয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ যখন দেশের ক্ষমতায় আসে তখন উন্নতি হয়। উড়ে এসে জুড়ে বসারা ক্ষমতাটাকে ভোগের জায়গা বানায়। অর্থ-সম্পদ বানানোর একটা মেশিন হিসাবে পায়। বুধবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমি ভবন, উপজেলা ও ইউনিয়নের ভূমি অফিস ভবন, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ কার্যক্রম এবং ভূমি ডাটা ব্যাংকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষ সেবা পায়, দেশের উন্নতি ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়। ‘আমরা যখন সরকারে আসি তখন আন্তরিকতা, আদর্শ, নীতি ও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করি। কারণ এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছে আওয়ামী লীগের কর্মীরা, পাশে থেকেছে জনগণ। কিন্তু উড়ে এসে জুড়ে যারা ক্ষমতায় বসে, তাদের সেই দায়বদ্ধতা থাকে না। দেশের মানুষের প্রতি তাদের কোনো খেয়ালই থাকে না। এটা হলো বাস্তবতা। ‘ শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যার পরে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পালা যখন শুরু হল তখন থেকে দেশের ভাবমূর্তি বিদেশে নষ্ট হতে শুরু করে। বাংলাদেশ নাম শুনলে মনে করতো দুর্ভিক্ষ, ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত অসম্মানজনক। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আমরা মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি করতে চেষ্টা করেছি। তিনি বলেন, বিএনপি সামরিক শাসকের হাতে তৈরি করা একটা সংগঠন। তাই মানুষের প্রতি, দেশের প্রতি তাদের কোনও দায়িত্ববোধও নেই। ক্ষমতা আর ক্ষমতায় থেকে টাকা বানানো, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এবং দুর্নীতি তাদের কাজ। সেটাই তারা করেছে। এসময় হাতের মুঠোয় ভূমিসেবা নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, আমরা ভূমি ব্যবস্থাপনাকে আরও উন্নত করতে চাই। সারাদেশের ভূমি অফিসগুলোর যে জীর্ণ দশা, আমাদের আগে তো অনেকই ক্ষমতায় ছিল; কেন এগুলো সংস্কার করেনি এটা বড় প্রশ্ন। দেশে ডিজিটাল টেলিফোন ছিল না। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরাই সেটা করি। মোবাইল ফোন উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এখন আমরা ‘ফোর জি’ চালু করেছি। ফাইভ জিও চালুর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এখন কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা ট্যাব ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না, মোবাইলের মাধ্যমেও অনেক কাজ সহজে করতে পারেন। ট্যাক্স, খাজনা দিতে পারেন সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। ভূমি মালিক এখন অফিসে না গিয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কর দিতে পারেন।