বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » সহকর্মীরা বললেন, ‘ক্যাপ্টেন নওশাদকে বিমানও মিস করবে’
সহকর্মীরা বললেন, ‘ক্যাপ্টেন নওশাদকে বিমানও মিস করবে’
বিবিসি২৪নিউজ, নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকাঃ গত ২৭ আগস্ট যাত্রী নিয়ে বিমান চালিয়ে ফিরছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম। কিন্তু আজ তিনি দেশে ফিরলেন ঠিকই; কিন্তু জীবিত নয়।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া নওশদের নিথর দেহ বিমানে করে বয়ে আনা ক্যাপ্টেন ইমরান আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমরা তাকে মিস করব, বিমানও তাকে মিস করবে। তিনি ২০ বছরের বেশি চাকরি করেছেন বিমানে। অনেক অধ্যবসায়ের পর দক্ষ পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আজকের এই পর্যায়ে পৌঁছান।’
এদিকে বৃহস্পতিবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমের মরদেহ ভারত থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সহকর্মীদের কারো চোখে ছিল নোনা জল। কেউ আবার হয়ে পড়েছিলেন বাকরুদ্ধ।
ক্যাপ্টেন নওশদের মরহেদ বিমান থেকে নামানোর পর টুকি খুলে তাকে শ্রদ্ধা জানান তার সহকর্মীরা
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-০২৬ ফ্লাইটে ক্যাপ্টেন নওশাদের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছে। কাতারের রাজধানী দোহা থেকে যাত্রী নিয়ে দেশে ফেরার পথে বিমানের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের এয়ারক্রাফট ভারতের নাগপুরে থামে। ওই ফ্লাইটটি ক্যাপ্টেনের মরদেহ বাংলাদেশে এনেছে। ফ্লাইটটির দায়িত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন আহমেদ ইমরান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় ক্যাপ্টেন ইমরান বলেন, ২৭ আগস্ট নওশাদ প্লেনের ভেতরেই সেন্সলেস হয়ে পড়েছিলেন। পরে প্রথম অফিসার মোস্তাকিম পিয়াস একক দক্ষতায় প্লেনটি অবতরণ করান।
অসুস্থ ক্যাপ্টেন নওশাদকে ভারতের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। তবে সব চেষ্টা ব্যর্থ করে ৩০ আগস্ট না ফেরার দেশে পারি জমান বিমানের দক্ষ এই পাইলট।