মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » জেলার খবর | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » গাইবান্ধার রেলওয়ের স্টোর থেকে ৬০ টন ফিস প্লেট গায়েব
গাইবান্ধার রেলওয়ের স্টোর থেকে ৬০ টন ফিস প্লেট গায়েব
বিবিসি২৪নিউজ, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার বোনারপাড়া রেলওয়ে জংশনের পিডাব্লিউআই অফিসের স্টোর থেকে ৬০ টন লোহার ফিস প্লেট গায়েব হয়ে গেছে। যার মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বোনারপাড়া রেলওয়ে থানার ওসি তাপস পন্ডিত জানান, বোনাপাড়ার রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ার বিভাগ সুরক্ষিত এলাকা। এখানে রাত-দিন পুলিশ ও রেলওয়ে বিভাগের লোকজন প্রহরায় থাকে। রেলস্টেশনের পশ্চিমপ্রান্তে অবস্থিত সুরক্ষিত স্টোর থেকে ৬০ টন ওজনের ৭ হাজার ফিস প্লেট (রেললাইনে ব্যবহারের জন্য) গায়েব হওয়া রহস্যজনক।
বোনারপাড়া রেলস্টেশন ম্যানেজার খলিলুর রহমান জানান, ঊর্ধ্বতন সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত ছিলেন আকবর আলী খান। কর্মরত থাকাকালীন তিনি রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগের স্টোর থেকে অনেক কিছু গোপনে বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ আছে। সম্প্রতি তিনি বদলী হয়ে যান।
বোনারপাড়া রেলস্টেশন ম্যানেজার জানান, তার বদলি হয়ে যাওয়ার সময় দায়িত্ব নেন সহকারী স্টোর কিপার দীপক কুমার সিংহ। আর অতিরিক্ত দায়িত্বে আসেন বগুড়া থেকে ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মাজেদ। অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা আব্দুল মাজেদ সম্প্রতি বগুড়া থেকে বোনারপাড়ায় আসেন এবং স্টোর খুলে দেখেন। তখন মালামালালে কম থাকার বিষয়ে সন্দেহ হলে তিনি ফিস প্লেট গুনে দেখেন। গণনা করার পর তিনি ওই স্টোরে ৭ হাজার পিস প্লেট কম দেখতে পান। যার ওজন অন্তত ৬০ টন।
এ ব্যাপারে আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘আমি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। আমার আগে যিনি ছিলেন, তার সময়ে এ সব গায়েব হতে পারে।’
আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘রেলের স্টোর থেকে এত বিপুল পরিমাণ লোহার ফিস প্লেট গায়েব হওয়ার বিষয়টি এই মুহূর্তে রহস্যজনক মনে হচ্ছে। কারণ পুলিশ ও আনছার সর্বক্ষণ পাহারায় থাকে। এতে কেউ জড়িত থাকতে পারে। তদন্তে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।’
আগামীকাল বুধবার (১১ আগস্ট) স্টোরের দায়িত্বে থাকা দীপক কুমার বাদী হয়ে বোনারপাড়া থানায় মামলা দায়ের করবেন বলে জানান আব্দুল মাজেদ।
রেলওয়ে বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন জানান, বগুড়ার বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমানকে প্রধান করে তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তাদের রিপোর্ট পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।