শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১

BBC24 News
রবিবার, ৮ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশে গণটিকা নিয়ে বিশৃঙ্খলা
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশে গণটিকা নিয়ে বিশৃঙ্খলা
৬৫৫ বার পঠিত
রবিবার, ৮ আগস্ট ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাংলাদেশে গণটিকা নিয়ে বিশৃঙ্খলা

---বিবিসি২৪নিউজ, বিশেষ প্রতিবেদক ঢাকাঃ বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের গণটিকায় ব্যাপক সাড়া মিললেও অনেকেই টিকা পাচ্ছেন না৷ কেউ কেউ দুই দিন লাইনে দাঁড়িয়েও টিকা পাননি৷ লম্বা লাইন থাকতেই টিকা শেষ হয়ে যাচ্ছে৷ মারামারির খবরও পাওয়া যাচ্ছে৷ আর টিকা কেন্দ্রগুলোতো মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি৷

ঢাকার ভাষানটেক এলাকায় টিকাকেন্দ্রে রোববার গণটিকার দ্বিতীয় দিনে দেখা গেছে বেজায় ভিড়৷ ৯ টায় টিকা দেয়া শুরু হলেও ভোর থেকেই লোকজন লাইনে দাঁড়ান৷ এই করোনার মধ্যেও লাইনে লোকজন ছিলেন ঠাসা৷ বিকাল ৩টা পর্যন্ত টিকা দেয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২ টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়৷ বৃষ্টির মধ্যে তখনো দীর্ঘ লাইন৷ সেখানে টিকা না পেয়ে অনেকই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন৷ তাদেরই একজন রহিমা বেগম জানান, ‘‘গতকাল (শনিবার) টিকা দিতে এসেছি টিকা পাই নাই৷ আজ (রবিবার) আবার কাজ ফেলে টিকা দিতে এসেছি আজও টিকা পাই নাই৷ এত টিকা কোথায় গেল? আমার টিকা কোথায়?’’

আরেকজন আব্দুর রহিমও প্রথম দিনে টিকা পাননি৷ রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তিনি লাইনে টিকা দেয়ার কাছাকাছি পৌঁছে যান৷ তাই তাকে অনেকটাই আশ্বস্ত দেখা যায়৷ তিনি বলেন, ‘‘লাইনের একদম সামনে পৌঁছে গেছি৷ মনে হয় পাব৷ আল্লাহ ভরসা৷

আর মাজেদা বেগমের লাইনে ঢুকতেই হিমশিম খেতে হয়েছে সেই সকালে৷ লাইনে ঢুকতে পারলেও টিকা পাবেন কিনা নিশ্চিত নন৷ সবচেয়ে হতাশা দেখা গেছে শফিকুর রহমানের৷ একদম কাছে গিয়ে তার টিকা অল্পের জন্য ফসকে গেছে৷ তিনি জানান, ‘‘টিকা আছে ১০টি আমার সিরিয়াল ১১৷ পেলাম না৷’’ তিনি সোমবার আবার চেষ্টা করবেন বলে জানান৷

টিকা কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, প্রতিদিনের জন্য তাদের ৩০০ টিকা বরাদ্দ৷ এর বাইরে তারা দিতে পারেন না৷ কিন্তু বরাদ্দের চেয়ে চার-পাঁচ গুণ মানুষ লাইনে দাঁড়াচ্ছেন৷ এদিকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের নেতাদের ও মেম্বার চেয়ারম্যানদের ‘শুভেচ্ছা স্লিপে’ কেউ কেউ ভিন্ন পথেও টিকা পাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷ ভোলাসহ দেশের কয়েকটি এলাকায় ভ্যাকসিন নিয়ে হাতাহাতি ও উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে৷ ভোলায় স্বেচ্ছাসেবীরা হামলার শিকার হয়েছেন৷

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছিল ৭ আগস্ট দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন এলাকায়, ৮ ও ৯ আগস্ট ইউনিয়ন ও পৌরসভার বাদ পড়া ওয়ার্ডে এবং ৭ থেকে ৯ আগস্ট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় টিকাদান কর্মসূচি চলবে৷ দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৮ ও ৯ আগস্ট এবং ১০ থেকে ১২ আগস্ট রেহিঙ্গা ক্যাম্পে ৫৫ বছর বয়সিদের টিকা দেয়া হবে৷ কিন্তু বাস্তবে এই শিডিউল মানা হচ্ছে না৷ প্রথম দিন যেসব কেন্দ্রে টিকা দেয়া হচ্ছে দ্বিতীয় দিনেও সেইসব কেন্দ্রে টিকা দেয়া হয়৷

এই ক্যাম্পেইনে মোট ৩৮ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার কথা রয়েছে৷ সর্বনিম্ন ২৫ বছর বয়সিরা টিকা পাবেন৷

গণটিকার কাজে চার হাজার ৬০০টি ইউনিয়ন, এক হাজার ৫৪টি পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৩৩টি ওয়ার্ডে ৩২ হাজার ৭০৬ জন টিকাদানকারী এবং ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজত আছেন৷ তারা প্রতিটি কেন্দ্রে প্রতিদিন ৩০০ জনকে টিকা দিবেন৷ ফলে যারা টিকা দিতে আসছেন তাদের সবাইকে কোনোভাবেই টিকা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না৷

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে গণ ও নিবন্ধিত মিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ লাখ ৮৩ হাজার ১৭২ জন টিকা পেয়েছেন৷ আইইডিসিআর-এর উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘‘সবাইকে দেয়ার মতো টিকা সরকারের হাতে তো নাই৷ আর পাইপলাইনে যা আছে তা দিয়েও হবে না৷ সবাইকে টিকা দিতে হলে স্থানীয়ভাবে টিকা উৎপাদন করতে হবে৷ তবে এই গণটিকায় বোঝা গেল টিকা নিয়ে মানুষের ভয় কেটে গেছে, ব্যাপক উৎসাহ তৈরি হয়েছে৷ এটা একটা ভালো দিক৷ কিন্তু ব্যবস্থাপনার সংকট দেখা যাচেছ৷’’

পরিবহণ শ্রমিকসহ বিভিন্ন খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়ার স…
তিনি বলেন, ‘‘একটি কেন্দ্র গণটিকা কর্মসূচিতে যত টিকা দিতে পারবে প্রথম দিনই লাইনে যারা দাঁড়িয়েছেন তার জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে স্লিপ দিতে পারত৷ তাহলে বাকিরা চলে যেতেন, অপেক্ষা করতে হত না৷ আর দ্বিতীয় দিনও টিকার জন্য এসে অযথা অপেক্ষা করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করত না৷’’

এনিয়ে চেষ্টা করেও রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোনো শীর্ষ কর্মকর্তার বক্তব্য জানা যায়নি৷

বাংলাদেশে চলমান লকডাউন শেষ হচেছ ১০ আগস্ট৷ এরপর পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে সব কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন৷ রোববার তিনি বলেন, ‘‘আমরা পরিবহণ শ্রমিকসহ আরো বিভিন্ন সেক্টরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ আরো যাদের জনসম্পৃক্ত কাজে বাইরে আসতে হয় তাদের আগে টিকা দেয়া হচ্ছে৷ আর সবাইকে মাস্ক পরতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে৷’’

এদিকে করোনায় সংক্রমণের হার গত ২৪ ঘণ্টায় কিছুটা কমেছে৷ এই হার এখন ২৪.৫২ ভাগ বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে৷ এই সময়ে মারা গেছেন ২৪১ জন৷ আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ২৯৯ জন৷

প্রবাসী কর্মীদের টিকাদানের জন্য ঢাকায় সাতটি কেন্দ্র খোলা হয়েছে৷ কেন্দ্রগুলো হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল এবং শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল৷



আর্কাইভ

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
পারমাণবিক আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া!
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ
ইলন মাস্কের রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে হাজির ট্রাম্প
লেবাননে নিহত দুই শতাধিক শিশু: ইউনিসেফ
মার্তিনেজের ধাঁধানো গোলে জিতল আর্জেন্টিনা
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিধি বাড়ালেন পুতিন
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল হয়নি: হাসনাত
যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন সামরিক গোয়েন্দা তথ্য চুক্তি স্বাক্ষর