রবিবার, ৮ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » ইউরোপ | পরিবেশ ও জলবায়ু | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » বৈশ্বিক জলবায়ুতে বড় পরিবর্তনের শঙ্কা
বৈশ্বিক জলবায়ুতে বড় পরিবর্তনের শঙ্কা
বিবিসি২৪নিউজ, আবু আইয়ুব মুকুল, ইইউ প্রতিনিধিঃ বৈশ্বিক জলবায়ুর চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত উত্তর গোলার্ধের আটলান্টিক মহাসাগরের স্রোত ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে৷ এর ফলে সামনের দিনে বৈশ্বিক জলবায়ুতেই বড় ধরনের পরিবর্তনের আশঙ্কা করা হয়েছে সদ্য প্রকাশিত একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায়৷
ইউরোপের আবহাওয়া কেমন হবে তা অনেকাংশেই আটলান্টিক মেরিডোনিয়াল ওভারটার্নিং সার্কুলেশন বা আটলান্টিক মহাসাগরীয় স্রোত বলয়ের উপর নির্ভরশীল৷ এমনকি বৈশ্বিক জলবায়ুতেও রয়েছে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা৷ ‘নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জ’ জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে সেখানকার স্রোতের ধরনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে৷
ক্রান্তীয় অঞ্চলের উষ্ণ পানিকে উত্তর আটলান্টিকের দিকে প্রবাহিত করে আটলান্টিক মহাসাগরীয় বলয়৷ প্রতিবেদনের লেখক এবং জার্মানির পোটসডাম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট ইমপ্যাক্ট রিসার্চ (পিআইকে) এর গবেষক নিকোলাস বোয়ের্স বলেন, গত শতাব্দিতে এই স্রোতধারা আগের চেয়ে কম স্থিতিশীল ছিল৷ সেখানে পানির প্রবাহ এখন গত এক হাজার বছরের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল বলে গবেষণায় উঠে এসেছে৷
বোয়ের্স বলছেন, আটলান্টিক মহাসাগরীয় বলয় দুর্বল হওয়া শুধু তাপমাত্রা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে না, বরং পানি প্রবাহের গোটা প্রক্রিয়াটিই ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ এর ফলে সামনের দিনে উত্তর গোলার্ধে ঠান্ডা বাড়বে, আটলান্টিকে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে, ইউরোপ ও উত্তর অ্যামেরিকায় বাড়বে বৃষ্টিপাতের পরিমান৷ সেই সঙ্গে ঋতুর পরিবর্তন ঘটবে দক্ষিণ অ্যামেরিকা ও আফ্রিকায়৷
অ্যান্টার্কটিকার তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে অ্যামেরিকার গ্রীষ্মপ্রধান শহর লস এঞ্জেলেসের কাছাকাছি হয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসে৷ উত্তর অ্যান্টার্কটিকার আর্জেন্টিনিয়ান গবেষণা স্থল এসপেরেনজা বেসের তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ অ্যান্টার্কটিকায় গবেষকরা তাপমাত্রা মাপা শুরু করার পর থেকে আজ পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা৷ নাসা বলছে, তাপমাত্রা বাড়ার ফলে বরফ গলে পুকুর সৃষ্টি হয়েছে৷