শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১

BBC24 News
বৃহস্পতিবার, ৫ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের কারণে অন্যান্য রোগের চিকিৎসা সংকুচিত
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের কারণে অন্যান্য রোগের চিকিৎসা সংকুচিত
৫৫৭ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার, ৫ আগস্ট ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের কারণে অন্যান্য রোগের চিকিৎসা সংকুচিত

---বিবিসি২৪নিউজ, বিশেষ প্রতিবেদক ঢাকাঃ বাংলাদেশে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণের কারণে অন্যান্য রোগের চিকিৎসার সুযোগ সংকুচিত হয়ে পড়েছে। সরকারি-বেসরকারি প্রায় সব চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানই কভিড রোগীর চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। করোনার মধ্যে নতুন করে বিস্তার ঘটছে ডেঙ্গুর। এ রোগে আক্রান্তদের জন্যও বিশেষ নজর দিতে হচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগকে। করোনার মতো রাজধানীতে ডেঙ্গু আক্রান্তদের জন্যও হাসপাতাল ডেডিকেটেড করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা ও প্রসূতিদের চিকিৎসায় বিশেষ নজর নেই সংশ্নিষ্টদের।

অন্তঃসত্ত্বা নারীদের নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে থাকতে হয়। একই সঙ্গে সন্তান জন্মদানের পরও মা-শিশুর চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হয়। করোনা সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে এটি সঠিক সময়ে হচ্ছে না। আবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হাসপাতালে গিয়ে অনেকে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এতে অনেকের গর্ভের সন্তান নষ্ট হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই মা হচ্ছেন কেউ কেউ। আবার কেউ বা করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন। মানসিক সংকটে পড়েছে অনেক পরিবার। সব মিলিয়ে করোনাকালে মাতৃস্বাস্থ্য মারাত্মক বিপর্যয়ে পড়েছে।

গত বছরের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণের পর এ পর্যন্ত বারডেম হাসপাতাল ও ব্যক্তিগত চেম্বারে সহস্রাধিক অন্তঃসত্ত্বা ও প্রসূতির চিকিৎসা-পরামর্শ দিয়েছেন অবসটেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফেরদৌসী বেগম। করোনাকালে এসব নারীর চিকিৎসায় নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, অন্তঃসত্ত্বা নারীদের প্রতি ১৫ দিন অথবা এক মাস পরপর নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হয়। কিন্তু করোনাকালে অধিকাংশ নারী নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাচ্ছেন না।

করোনা সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে অনেকে হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে দূরে থাকেন। এর কারণও আছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে এসে অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। এতে সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে। আবার অনেকে মৃত্যুবরণও করেছেন। সুতরাং অন্তঃসত্ত্বা ও প্রসূতি নারীরা হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ থেকে কিছুটা দূরে থাকছেন। কেউ কেউ হাসপাতালের পরিবর্তে ঘরেই প্রচলিত পদ্ধতিতে সন্তান জন্মদানের চেষ্টা করেন। এটি করতে গিয়ে কেউ কেউ জটিলতার মুখে পড়েন। এতে মাতৃ ও শিশুমৃত্যু আগের তুলনায় বেড়েছে।

মানসিক স্বাস্থ্য ও গাইনি বিশেষজ্ঞ অনেকের মতে, করোনাকালে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বদ্ধ অবস্থায় সময় পার করার কারণে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের মানসিক স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলেছে। মায়ের মানসিক স্বাস্থ্যে বিপর্যয় শিশুস্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলছে। সেইসঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার হারও বেড়েছে। ফলে অপুষ্ট শিশুকে ‘ইনকিউবেটর’ সাপোর্ট দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপরিণত বয়সের এসব শিশু মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে এ পরিস্থিতি ভবিষ্যতে আরও বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

বিপর্যয়ের চিত্র :ঢাকার দক্ষিণখানের শারমিন সুলতানা গত এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকার একটি হাসপাতালে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। নির্ধারিত সময়ের তিন মাস আগেই মা হন তিনি। অপরিণত বয়সে সন্তান জন্মদানের কারণে প্রসব-পরবর্তী রক্তক্ষরণও বেড়ে যায় তার। জরুরি ভিত্তিতে পৃথকভাবে কয়েক ব্যাগ রক্ত দিলেও ডাক্তাররা শারমিনকে বাঁচাতে পারেননি। শিশুসন্তান জন্মের মাত্র দু’দিন পর মারা যান তিনি। অপরিণত বয়সের নানা জটিলতায় মায়ের মৃত্যুর সাত দিন পর মারা যায় শিশুটিও।

নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা রোকেয়া খানম জানান, করোনার শুরুতে তার এক সহকর্মী অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ভর্তি করানোর জন্য অন্তত চারটি হাসপাতাল ঘুরেও ব্যর্থ হন। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পাওয়ায় তার গর্ভের সন্তান মারা যায়।

ওই ঘটনার পর কিছুটা আতঙ্কে আছেন ওই শিক্ষিকা নিজেও। কারণ, তিনিও আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। চিকিৎসকরা ডেলিভারির নির্ধারিত তারিখ জানালেও যে কোনো সময়ই প্রসব ব্যথা উঠতে পারে তার। এমন ঘটনার মুখোমুখি হলে সন্তান প্রসবে কোন হাসপাতালে যাবেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। বর্তমানে প্রসূতিকালীন নিয়মিত চিকিৎসাসেবা পেতেও বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানান রোকেয়া।

সন্তানসম্ভবা মা, শিশু ও নারীর স্বাস্থ্য নিয়ে পরামর্শবিষয়ক একাধিক ফেসবুক গ্রুপ রয়েছে। সেগুলোর একটি গ্রুপের নারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অধিকাংশ অন্তঃসত্ত্বা নারী করোনা সংক্রমণের আতঙ্কে চিকিৎসাসেবা ঠিকমতো নিতে পারছেন না। কেউ কেউ টেলিমেডিসিন সেবা নিতে চাইলেও চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। অধিকাংশ চিকিৎসকের চেম্বার বন্ধ থাকায় ব্যক্তিগতভাবেও পরামর্শ নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

অন্তঃসত্ত্বা নারীদের মানসিকভাবে সহায়তা করার জন্য সংশ্নিষ্ট চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন টিকাবিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির সদস্য ও প্রসূতিবিদ্যার প্রখ্যাত চিকিৎসক অধ্যাপক মালিহা রশীদ। তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে অনেক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ‘টেলিমিডিসিন’ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। তবে ঘরবন্দি জীবনযাপন, করোনা আতঙ্কসহ নানা বিষয়ে অনিশ্চয়তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় একজন নারীর আবেগজনিত হরমোন বেড়ে যায়। যে কোনো স্পর্শকাতর ঘটনা তাদের বেশি তাড়িত করে। বর্তমানে সবদিকে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর খবরগুলো তাদের ভীত করছে। এ ক্ষেত্রে পরিবারকেও সতর্ক থাকতে হবে। অন্তঃসত্ত্বা নারীর সুরক্ষায় পরিবারের কেউ আক্রান্ত হলে তাকে সংস্পর্শের বাইরে রাখতে হবে।

তবে এর মধ্যেও অনেক সচেতন নারী ডাক্তার দেখাতে আসছেন বলে জানান মালিহা রশীদ। তিনি বলেন, গর্ভবতীদের কেউ কেউ বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়ে সরাসরি চিকিৎসকের কাছে চলে আসছেন। অনেকে গর্ভাবস্থায় করোনার টিকা নেবেন কিনা সেটি জানতেও আগ্রহী। তবে এ সংখ্যাটি খুবই সীমিত।

রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত জুলাই পর্যন্ত সাধারণ অন্তঃসত্ত্বাদের ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হতো। তবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনার সংক্রমণ অনেক বেড়ে যাওয়ায় চলতি মাস থেকে এই হাসপাতালটিকে করোনা ডেডিকেটেড করা হয়েছে। ফলে এখানে সাধারণ অন্তঃসত্ত্বাদের ভর্তির আর কোনো সুযোগ নেই।

তবে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘কোনো রোগীকেই আমরা ফিরিয়ে দিচ্ছি না। অন্তঃসত্ত্বাদের ভর্তি আমাদের এখানে বন্ধ থাকলেও জরুরি বিভাগ খোলা আছে। সেখানে রোগীরা এলে তাদের চিকিৎসা দিচ্ছি আমরা। জটিল অবস্থা হলে আমাদের এখানেই পুরো চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছি। খুব বেশি জটিল না হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অন্য হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হয়।’

করোনা আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বাদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বর্তমানে এখানে এ ধরনের তিন রোগী ভর্তি আছেন। অন্তঃসত্ত্বারা আক্রান্ত হলে তারা অনেক বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। বাসায় পর্যবেক্ষণের সুবিধা না থাকলে এমন আক্রান্তদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া উচিত। অন্তঃসত্ত্বা করোনা রোগীদের অন্য সাধারণ রোগীদের তুলনায় রক্ত জমাট বাঁধার হারও বেশি। তাই হাসপাতালে তাদের আলাদা যত্নের প্রয়োজন। হাসপাতালে ভর্তি হলে করোনা আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বাদের ঝুঁকি কমবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ঢাকার অন্য সরকারি বড় হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীদের চাপ বেশি থাকায় সাধারণ অন্তঃসত্ত্বা নারীদের চিকিৎসা দিতে পারছে না। এসব হাসপাতালে চিকিৎসা বন্ধ করা হলেও অন্তঃসত্ত্বাদের চিকিৎসায় বিকল্প কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। ফলে এই হাসপাতালগুলোতে যারা চিকিৎসা নিতে আসতেন, তাদের অনেকে অন্য হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন। চিকিৎসক ও হাসপাতাল কমে যাওয়াতে চিকিৎসা পেতে বেশিরভাগই দীর্ঘসূত্রতার শিকার হচ্ছেন। আবার তাদের অনেকেই ঝামেলা এড়াতে হাসপাতালে যাচ্ছেন না।

এ অবস্থা চলতে থাকলে মাতৃমৃত্যু হার কমানো নিয়ে বাংলাদেশের এত বছরের অর্জন মলিন হয়ে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজধানীর মধ্যে মিটফোর্ড হাসপাতাল, আজিমপুর মেটারনিটি ও মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি হাসপাতালের বাইরে অন্তঃসত্ত্বা ও প্রসূতিদের চিকিৎসা সুযোগ কম।

সীমিত পরিসরে যে কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল চিকিৎসা দিচ্ছে সেগুলোর একটি সেন্ট্রাল হাসপাতাল। প্রতিষ্ঠানের উপপরিচালক ডা. মোজাহার হোসেন সমকালকে বলেন, গত বছরের মার্চ থেকে এ বছরের জুলাই পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার সাধারণ অন্তঃসত্ত্বা নারীকে তাদের হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ করোনা পজিটিভ হলে তাকে কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে রেফার করা হয়।

চাপে ঢাকা মেডিকেল :রাজধানীতে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের কভিডকালীন চিকিৎসাসেবায় সাধারণ মানুষের ভরসা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এখানে গত বছরের ২ মে থেকে চলতি বছরের ৩ আগস্ট পর্যন্ত মোট ১১ হাজার ৯৯৪ জন অন্তঃসত্ত্বা নারী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে করোনা আক্রান্তদের বার্ন ইউনিটের পঞ্চম তলায় করোনা মহিলা ওয়ার্ড ‘গ্রিন ইউনিট’-এ পাঠানো হয়। এই ইউনিটে করোনা আক্রান্ত গাইনি এবং সার্জারি রোগীদের ভর্তি করা হয়। গত জুলাই মাসে এই ইউনিটে ৮০ জনেরও বেশি চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী প্রধান নূরসাফা মো. হাসান। গ্রিন ইউনিটের ইনচার্জ মো. ফয়সলুজ্জামান জানান, ৪০ শয্যার এই ইউনিটে বর্তমানে ২০ জন করোনা আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা ভর্তি আছেন। সাধারণ সময়ের তুলনায় হাসপাতালে অন্তঃসত্ত্বা রোগীর চাপ বেড়েছে বলে জানান তিনি।

সাধারণ অন্তঃসত্ত্বা রোগীদের গাইনি ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে রোগীর চাপ বেড়ে গেলে বাধ্য হয়ে অন্য ওয়ার্ডের শয্যায় নিতে হচ্ছে বলেও জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অন্য বছরের সাধারণ সময়ের তুলনায় গত কয়েক দিন ধরে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে বলেও জানা গেছে।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক জানান, অনেক অন্তঃসত্ত্বা এখানে এসে সরাসরি ভর্তি হচ্ছেন। আবার অনেক জটিল রোগীকে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে এখানে পাঠানো হয়। তারা সবাইকে চিকিৎসা দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টাই করছেন। করোনাকালে অন্তঃসত্ত্বাদের চিকিৎসার পাশাপাশি হাসপাতাল থেকে মানসিক সমর্থন দেওয়ার চেষ্টাও করা হয় বলে জানান তিনি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, করোনাকালে অন্যান্য রোগের চিকিৎসায় মারাত্মক সংকট তৈরি হয়েছে। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এ ঘটনা ঘটছে। বৈশ্বিক করোনা মহামারি শুধু স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নয়, অর্থনীতি থেকে শুরু করে মানুষের জীবন-জীবিকা সবকিছু হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, করোনা ডেডিকেটেডের বাইরেও সাধারণ রোগীদের জন্য কিছু হাসপাতাল রাখা হয়েছে। কিন্তু করোনা উচ্চ সংক্রমণের কারণে সেগুলোর মধ্যে কিছু হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড করে দেওয়া হয়েছে। সংক্রমণ কিছুটা কমে এলে সেগুলো আবারও সাধারণ রোগীদের চিকিৎসায় ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানান তিনি।



আর্কাইভ

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
পারমাণবিক আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া!
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ
ইলন মাস্কের রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে হাজির ট্রাম্প
লেবাননে নিহত দুই শতাধিক শিশু: ইউনিসেফ
মার্তিনেজের ধাঁধানো গোলে জিতল আর্জেন্টিনা
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিধি বাড়ালেন পুতিন
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল হয়নি: হাসনাত
যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন সামরিক গোয়েন্দা তথ্য চুক্তি স্বাক্ষর